Skip to content

অক্টোবরে চার দেশের মধ্যে পরীক্ষামূলক যান চলাচল শুরু

বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে অক্টোবর মাসে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রীবাহী যান চলাচল শুরু হবে। এরপর ১৪ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে চার দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি মোটর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, মোটর শোভাযাত্রাটি ভারতের উড়িষ্যা প্রদেশের ভুবনেশ্বর থেকে শুরু হয়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা হয়ে ২৮ নভেম্বর আখাউড়া হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এরপর ৩০ নভেম্বর ঢাকা থেকে ভারতের কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে বেনাপোল সীমান্ত অতিক্রম করবে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গিয়ে শেষ হবে।

4country

চলতি মাসের ৭ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিবিআইএনের ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে যাত্রীবাহী যান চলাচলের খসড়া চূড়ান্ত হয়। এতে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো এর ওপর মতামত বা সুপারিশ চূড়ান্ত করবে। অক্টোবর মাসের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত হবে। এ বছর শেষ হওয়ার আগেই চারটি দেশ বিবিআইএন-এমভিএ চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিবিআইএন-এমভিএ’র অধীনে যাত্রীদের ভিসাসহ অন্যান্য বিষয়ে ৬ থেকে ৮ অক্টোবর ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে। এ ছাড়া মালামাল পরিবহন যানবাহন সংক্রান্ত বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর সুবিধার্থে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে পরীক্ষামূলকভাবে যান চলবে। এই অভিজ্ঞতা নিয়ে ডিসেম্বরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে আরেকটি বৈঠক হবে।

গত ১৫ জুন ভুটানের থিম্পুতে চার দেশের সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর মোটর ভেহিকল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করেন। তখন জানানো হয়েছিল, এই চুক্তির আওতায় আগামী বছরের শুরুতে চার দেশের মধ্যে সড়কপথে সরাসরি যানবাহন চলবে। অর্থাৎ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ থেকে সড়কপথে ভারত ছাড়াও নেপাল ও ভুটান যাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্র জানায়, বিবিআইএনভুক্ত অপর তিন দেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে বাংলাদেশ থেকে ছয়টি রুটে যান চলাচল করতে পারবে। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে দুটি করে প্রস্তাবিত রুটে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যান চলাচলের সুযোগ রয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে নিয়মিত বাস ও ট্রাক চলাচল করবে। ব্যক্তিগত গাড়িতেও এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করা যাবে বিনা বাধায়।

ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের দুটি রুট হলো, ঢাকা থেকে যশোর হয়ে কলকাতা এবং অন্যটি রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ির রামগড় হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরাম ও ত্রিপুরা। নেপাল যাওয়ার প্রস্তাবিত দুটি রুট হলো-ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতের মধ্যে ৩৭ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কাকারভিটা হয়ে কাঠমান্ডু এবং ঢাকা থেকে বুড়িমারী-চেংরাবান্ধা হয়ে ভারত পাড়ি দিয়ে কাঠমান্ডু।

ভুটান যাওয়ার প্রস্তাবিত দুটি রুট হলো ঢাকা থেকে বুড়িমারী-চেংরাবান্ধা হয়ে ভারতের মধ্য দিয়ে ৯০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জয়গাঁও-ফুয়েসারেং হয়ে ভুটানের থিম্পু এবং ঢাকা থেকে সিলেট-শিলং-গৌহাটি হয়ে থিম্পু। সূত্র : প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *