কাশ্মীরের সৌন্দর্য্য নিয়ে অনেক কবিতা, বহু গান রচিত হয়েছে। আমাদের রবীন্দ্রনাথও কাশ্মীরের ঝিলম নদী নিয়ে কবিতা লিখেছেন। অপরূপ সেই কাশ্মীর নিয়েই দেখুন ছবিঘর।
সব ধর্মের অবস্থান
নানা সংস্কৃতি আর ভাষার মানুষের বসবাস কাশ্মীরে। আছে নানা ধর্মের মানুষও। কাশ্মীর উপত্যকার অধিকাংশ মানুষ মুসলমান। হিন্দুদের বাস জম্মু এলাকায়। আর লাদাখে আছেন বৌদ্ধরা।
জাফরান
কাশ্মীরের আরেকটি বিখ্যাত জিনিস জাফরান। ইরান আর স্পেনের পর ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাফরান রপ্তানিকারক।
‘পুবের সুইজারল্যান্ড’
সুন্দর সব ফুলের বাগান আর বরফে ঢাকা সাদা পাহাড়চূড়ার দেখা পাওয়া যায় কাশ্মীরে। তাই অনেকে কাশ্মীরকে পুবের সুইজারল্যান্ড বলে ডাকেন। ২০১৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় ১১ লাখ পর্যটক গিয়েছিল।
বরফ সাদা কাশ্মীর
শীত এলে পুরো কাশ্মীরের রঙ সাদা হয়ে যায়। তখন শীতকালীন খেলাধুলার জন্য কাশ্মীর উপযুক্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে সেটা সম্ভব হয় না।
নদী
কাশ্মীরের হিমালয় অংশ থেকে ওই অঞ্চলের প্রায় ২০টি নদী পানি পেয়ে থাকে। নদীগুলোর মধ্যে সিন্ধু, চেনাব আর ঝিলম সবচেয়ে বড়। এছাড়াও রয়েছে নীলম, রবি, দোদা ইত্যদি বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নদী। বেশিরভাগ নদীই ভারত থেকে পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত হয়েছে।
কাঠ
জাফরানের মতো কাশ্মীরের কাঠও বেশ বিখ্যাত। ভালো ক্রিকেট ব্যাটের জন্য কাশ্মীরের কাঠের যেন বিকল্প নেই। এই কাঠ দিয়ে নৌকাও তৈরি হয়।
সুফিবাদ
ষোড়শ শতকে কাশ্মীরে সুফিবাদের আগমন ঘটেছিল। সেই থেকে সেখানকার মানুষ সুফিবাদের চর্চাকারীদের পছন্দ করেন।
মুভিতে কাশ্মীর
গত শতকের আশির দশকে বলিউডের ছবি নির্মাতাদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ‘লোকেশন’ ছিল কাশ্মীর। সেই সময়টা ছিল কাশ্মীরের জন্য স্বর্ণযুগ। কিন্তু এখন সেখানে প্রায় প্রতিদিনই সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। ফলে নির্মাতারাও সেখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে সারা বছরে মাত্র এক থেকে দু’টি ছবির শ্যুটিং হয় কাশ্মীরে।
সংঘাত কবে থামবে?
১৯৪৮ সাল থেকে কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে। অদূর ভবিষ্যতে সেটার সমাধান হবে কিনা তার কোনো উত্তর কারও জানা নেই। সূত্র : ডয়চে ভেলে