Skip to content

অ্যান্টার্কটিকায় গলছে না বরফ জমছেও : নাসার প্রতিবেদন

বরফ কেবল গলেই যাচ্ছে, তেমনটা নয়। বরং বরফ জমাও হচ্ছে। আর সেটা শুরু হয়েছে বহু আগে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা এ দাবি করেছেন।

নাসার সাম্প্রতিক এ গবেষণা প্রতিবেদনে আগের গবেষণা প্রতিবেদনগুলো থেকে নতুন তথ্য জানানো হচ্ছে। ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) ২০১৩ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যান্টার্কটিকার স্থলভাগের সব বরফ গলে যাচ্ছে।

Anterktica

এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে অবস্থিত নাসার গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের বিজ্ঞানী জে জোয়ালি জানান, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের উত্তরের অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপ এবং পশ্চিমের পাইন ও দাওয়েইট অঞ্চলের বরফ গলার পরিমাণ গত কয়েক দশকে মারাত্মক বেড়েছে। নাসার সাম্প্রতিক গবেষণায় সেটা উঠে এসেছে। কিন্তু পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার বরফ এবং পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার অভ্যন্তরভাগের ব্যাপারটা আলাদা। এসব জায়গার বরফের পুরুত্ব প্রতিবছর ০.৭ ইঞ্চি করে বাড়ছে। এতে এই মহাদেশের অন্যত্র বরফ গলার ক্ষতি পূরণ হয়ে যেতে পারে।

জোয়ালি বলেন, ‘সর্বশেষ বরফ যুগের পর অ্যান্টার্কটিকার বায়ুমণ্ডল উষ্ণ হয়ে ওঠে এবং ওই উপমহাদেশ আরো আর্দ্র হয়ে ওঠে। এতে বরফ গলার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায়।’

এর পরের ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানান, সর্বশেষ বরফ যুগের পর অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ১০ হাজার বছর আগে শুরু হওয়া তুষারপাতে অ্যান্টার্কটিকায় একটু একটু করে বরফ জমতে থাকে। ১৯৯২ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এ সময় প্রতিবছর অ্যান্টার্কটিকায় ১১২ বিলিয়ন টন বরফ জমেছে। ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল মেয়াদে বরফ জমার পরিমাণ খানিকটা কমতে দেখা যায়। এ সময় প্রতিবছর ৮২ বিলিয়ন টন বরফ জমেছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির দুটি স্যাটেলাইটের রাডার অল্টিমিটার এবং নাসার আইস, ক্লাউড অ্যান্ড ল্যান্ড এলিভেশন স্যাটেলাইটের লেজার অল্টিমিটারের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য থেকে এসব খবর জানান বিজ্ঞানীরা।

জোয়ালি আরো বলেন, ‘ভালো খবর হলো বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে অ্যান্টার্কটিকার কোনো ভূমিকা নেই। বরং তা সমুদ্রের উচ্চতা প্রতিবছর ০.২৩ মিলিমিটার কমিয়ে দিচ্ছে।’ সূত্র : আইএএনএস। সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *