ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরের খুব কাছে। ঢাকা থেকে দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে প্রায় চার ঘণ্টা। ঢাকা থেকে ভারতের কোনো রাজ্যের সবচেয়ে কাছের রাজধানী শহর এটি। এখানে গেলে যে কেউ অবাক হবেন নগরবাসীর কথা বলার ঢং ও আচার-আচরণে। কারো হয়তো মনেই হবে না যে, এটি বাংলাদেশের বাইরের একটি শহর। বাংলাদেশিদের জন্য সেখানে অভ্যর্থনা ও আন্তরিকতার কোনোই কমতি হয় না। এই আগরতলা শহর এবং এর বাইরে রয়েছে চমৎকার সব দর্শনীয় স্থান।
ঢাকা ট্যুরিস্টের আগরতলা ট্যুরে ত্রিপুরার তৎতালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সাথে বৈঠক শেষে ফটোসেশন। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের আকর্ষণ মূলত দার্জিলিং, মেঘালয়, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, কাশ্মীর, গোয়া বা আগ্রার তাজমহলের প্রতি। এদের কোনো কোনোটি আবার ব্যয়বহুল হওয়ায় সীমিত আয়ের অনেকেই যেতে পারেন না। সে সকল ভ্রমণ পিপাসুর জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হতে পারে ভারতের রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা।
মাত্র ৭,৯৫০ টাকায় আমরা দিচ্ছি তিন দিন দুই রাতের আগরতলা ভ্রমণের প্যাকেজ।
যোগাযোগ: ০১৬১২৩৬০৩৪৮, ০১৫৩৩ ২০৬৯৯৪
দূর থেকে নীরমহল। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান।
জনপ্রতি ভ্রমণ খরচ
এডাল্ট ৭,৯৫০/= টাকা, তিন বছরের নিচে ১,৫০০/= টাকা, ১০ বছরের নিচে ৫,৫০০/= টাকা।
খরচের অন্তর্ভূক্ত: ট্রাভেল ট্যাক্স, ঢাকা-আগরতলা এসি গাড়িতে এবং আগরতলা-ঢাকা নন এসি গাড়িতে যাতায়াত, রিজার্ভড গাড়িতে সাইটসিয়িং (নন এসি), আগরতলায় স্টান্ডার্ড হোটেলে তিন রাত অবস্থান, সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার, বিকেলে স্ন্যাকস, ট্যুরিস্ট প্লেসে এন্ট্রি টিকেট, গাড়ি পার্কিং, ড্রাইভারের খাবার, গাইড সম্মানী।
নীরমহলে ঢাকা ট্যুরিস্টের প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজুর রহমান।
খরচের অন্তর্ভূক্ত নয়: ভিসা ফি (৮০০+৪০ টাাক), টিপস, মেডিক্যাল সার্ভিস, ব্যক্তিগত খরচ, নির্ধারিত সময়ের বেশি বা কম দিন থাকা, অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির খরচ, যা অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি এমন খরচ।
চাইল্ড পলিসি: তিন বছরের নিচের বাচ্চা বাবা-মায়ের সাথে হোটেলে বেড, খাবার ও গাড়িতে সিট শেয়ার করবে। ১০ বছরের নিচের বাচ্চা হোটেলে বাব-মায়ের সাথে বেড শেয়ার করবে।
ভিসা
ভ্রমণের পূর্বে বাই রোড আগরতলা রুটে ভারতের ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। পূর্ব থেকে যাদের ভারতের ভিসা আছে কিন্তু রুট ভিন্ন তাদের এই রুট দিয়ে এন্ট্রি-এক্সিটের অনুমতি নিতে হবে। ভিসা ও অনুমতি প্রসেসিংয়ে সহযোগিতা করা হবে। ভারত ভ্রমণের জন্য এই রুটের ভিসা দিয়ে বাই এয়ার, বাই রোড হরিদাসপুর ও গেদে (বাই ট্রেন, বাই রোড) রুট ব্যবহার করা যাবে।
উজয়ন্ত প্যালেস। আগরতলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় আধা মাইল এলাকাজুড়ে দ্বিতল এই প্রাসাদটি অবস্থিত। মিশ্র স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত প্রাসাদটির তিনটি গম্বুজ ঘিরে রয়েছে মুঘল আমলের খাঁজকাটা নকশা। একসময় রাজপ্রাসাদ ও পরে গভর্নর হাউজ ছিল। এখন জাদুঘর। রয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি গ্যালারি। প্রথম দিন বিকেলের সময়টা কাটাবো এখানে। ছবি: সংগ্রহ।
উজয়ন্ত প্যালেসের প্রবেশ পথ। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান
ট্যুর প্লান
প্রথম দিন
সকাল ৭টা: আগরতলার উদ্দেশে ঢাকার আরামবাগ থেকে যাত্রা শুরু। গাড়িতে সকালের নাস্তা। আখাউড়া বর্ডারে পৌঁছার পর দুই দেশের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ সম্পন্ন করা। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষে আগরতলায় হোটেলে চেক-ইন। দুপুরের খাবার শেষে হেরিটেজ পার্ক, সংসদ ভবন ও সচিবালয়, উজয়ন্ত প্যালেস ও স্টেট মিউজিয়াম, চতুর্দাশ দেবতা টেম্পল, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজসহ আগরতলা লোকাল সাইটসিয়ং। রাতের খাবার শেষে হোটেলে অবস্থান।
দ্বিতীয় দিন
সকালের নাস্তা শেষে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, চা বাগান ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী উদ্যান ভ্রমণ। মৈত্রী উদ্যান এলাকায় দুপুরের খাবার শেষে তৃষ্ণা ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঞ্চুরি ভ্রমণ। সন্ধ্যায় আগরতলায় ফেরা। রাতের খাবার শেষে হোটেলে অবস্থান।
তৃতীয় দিন
সকালের নাস্তা শেষে নীড়মহল ও টেপানিয়া ইকো পার্ক ভ্রমণ। দুপুরে আগরতলা ফিরে হোটেলে চেক-আউট ও দুপুরের খাবার গ্রহণ। দুপুরের খাবার শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা। ভারত ও বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকায় আসা। ঢাকায় পৌঁছে ট্যুরের সমাপ্তি।
হোটেল গীতাঞ্জলী।
হোটেল
হোটেল গীতাঞ্জলী অথবা হোটেল হ্যাভেন অথবা হোটেল এক্সিকিউটিভ ইন অথবা সমমান।
সাথে যা বহন করতে হবে
০১. আগরতলার আবহাওয়া বাংলাদেশের মতোই। এজন্য ঢাকার আবহাওয়া উপযোগী পোশাক নিতে হবে।
০২. হাটার জন্য কেডস।
০৪. রোদ থেকে নিরাপদ থাকতে সানগ্লাস, সানক্যাপ।
০৫. বাইনোকুলার, ক্যামেরা।
০৬. টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, স্লিপার।
০৭. জরুরি ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ।
কুঞ্জবন প্যালেস। প্রথম দিন যাব এখানে। ছবি: সংগ্রহ
খাবারের মেনু
প্রথম দিন
সকালের নাস্তা: পরাটা, সবজি, ডিম, ফল, আধা লিটার মিনারেল ওয়াটার। (ঢাকা)
দুপুরের খাবার: সাদা ভাতা, মাছ, সবজি, ডাল। (আগরতলা)
ইভিনিং স্ন্যাকস: ফল/ বিস্কুট, চা। (আগরতলা)
রাতের খাবার: সাদা ভাত/ রুটি, ভর্তা, চিকেন, ডাল, মিষ্টান্ন। (আগরতলা)
দ্বিতীয় দিন
সকালের নাস্তা: তেল পুরি (পরাটা), সবজি, ডিম, চা। (আগরতলা)
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, চিকেন, ভর্তা, ডাল। (বিলোনিয়া)
ইভিনিং স্ন্যাকস: ফল/ বিস্কুট, চা।
রাতের খাবার: চিকেন বিরিয়ানি, মিষ্টান্ন। (আগরতলা)
তৃতীয় দিন
সকালের নাস্তা: পরাটা, সবজি, ডিম, ফল, মিনারেল ওয়াটার। (আগরতলা)
দুপুরের খাবার: সাদা ভাতা, চিকেন/মাছ, সবজি, ডাল। (আগরতলা)
ইভিনিং স্ন্যাকস: ফল/ বিস্কুট, চা।
রবীন্দ্র কাণন। প্রথম দিনের ভ্রমণ তালিকায় রয়েছে এটি। ছবি: সংগ্রহ
Responsibility
We will be responsible for operation of the tours and excursions as mentioned in our brochure under the normal situation. So, for personal accident, sickness or loss of baggage during the tour, any political problem resulting in unusual situation to conduct a tour etc. we will not be responsible. However, we will try to extend all possible assistance to overcome such problems. But the guest must pay any extra cost incurred due to such problems.
We reserve the right to withdraw or amend any tour should condition warrant such action. In such a condition, any participant unable to avail the changed schedule is entitled to take his/her money refunded.
During visiting days all members must be maintaining by their leaders. We reserve the rights to accept or refuse any participant as a member of the tour.
ভিসার জন্য যেসব ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে
০১. ছয়মাসের মেয়াদসহ পাসপোর্ট। একাধিক/পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সেটিও জমা দিতে হবে।
০২. ভিসাসহ (যদি থাকে) পাসপোর্টের প্রথম দুই পৃষ্ঠার ফটোকপি।
০৩. দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি সাইজের ল্যাব প্রিন্ট ছবি, ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা।
০৪. তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট। ব্যালান্স কমপক্ষে ২০,০০০/= টাকা। ব্যাংক হিসাব না থাকলে ২০০ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট।
০৫. বর্তমান ঠিকানা নিশ্চিতকরণের জন্য ইলেক্ট্রিক বিলের ফটোকপি।
০৬. ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ১৮ বছরের কম হলে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
০৬. হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি। লিমিটেড কোম্পানি হলে আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডামের ফটোকপি।(ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে)।
০৭. নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের মূল কপি (চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে)।
০৮. ভিজিটিং কার্ড।
০৯. অফিস আইডি কার্ড (চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে)।
১০. স্টুডেন্ট আইডি কার্ড (ছাত্রদের ক্ষেত্রে)।