Skip to content

আড়াইশ’ বছরের পুরনো আওকরা মসজিদ

রিয়াজুল ইসলাম
বিলীনের পথে খানসামার মীর্জার মাঠে অবস্থিত আড়াইশ’ বছরের পুরনো স্থাপত্য ‘আওকরা’ মসজিদ।

Awkara Mosqueতৎকালীন মীর্জা সাহেব মসজিদটি প্রতিষ্ঠার সময় কী নাম রেখেছেন তা কেউ বলতে পারেন না। কোনো মানুষ মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এটির মধ্যবর্তী অংশে দাঁড়িয়ে কথা বললে একসময় জোরে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি হতো। তাই শুনে তারা ভাবত মসজিদটি তাদের কথার উত্তর দিচ্ছে। এ থেকে মসজিদের নাম হয়ে যায় ‘আওকরা’ মসজিদ অর্থাৎ কথা বলা মসজিদ।

এখনো মানুষ পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শব্দ করে কথা বলে প্রতিধ্বনি শোনার আশায়। কিন্তু মসজিদের দেয়াল ফেটে নষ্ট এবং এর গায়ে আগাছা পরিপূর্ণ হওয়ায় আগের মতো আর আওয়াজ হয় না। এটি অযত্ন-অবহেলায় দীর্ঘকাল সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে বিলীনের পথে। অথচ এটিকে সংস্কার করলে এটাও পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারে।

উপজেলা পরিসংখ্যানের তথ্যে পাওয়া গেছে, এ মসজিদটি প্রায় ২৫০ বছর আগে বাংলা ১১৭২ সালে মীর্জা লাল বেগ নির্মাণ করেন। চিকন ইটে নির্মিত দেয়ালে নকশা করা মসজিদটি উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বেলান নদীর পূর্ব ধারে মীর্জার মাঠ নামক স্থানে অবস্থিত।

ওই এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা ধারণা করেন, একসময় মসজিদটির আশপাশে মুসলিম জনবসতি ছিল। যে কারণে এখানে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল এবং ব্রিটিশ সরকারের আমলে অথবা অন্য কোনো কারণে তারা মসজিটির আশপাশ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ফলে এটি অযত্ন-অবহেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় দীর্ঘকাল পড়ে থাকে।

পরবর্তীতে সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে মসজিদটি।

তবে মীর্জা লাল বেগের ওই মসজিদকে ঘিরে মীর্জার মাঠে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠত হয়। যা পরে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এ ছাড়াও একই স্থানে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মীর্জার মাঠ আওকরা মসজিদ নিু মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে আরও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়।

ওই এলাকার একাধিক প্রবীণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেও মসজিদটিতে সর্বশেষ কত সালে নামাজ আদায় হয়েছে তা তারা জানেন না।

এলাকাবাসীর দাবি, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কিংবা সরকারি কোনো বিভাগ যদি পদক্ষেপ নিয়ে মসজিদটির সংস্কার করে তাহলে এটি হতে পারে দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *