মেক্সিকোর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ও উত্তর আমেরিকার সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি ‘পিকো দে ওরিজাবা’ জয় করলেন সেভেন সামিট জয়ী বাংলাদেশের একমাত্র পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন।
মঙ্গলবার মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্ধু হুয়ান মেন্ডোজাকে সাথে নিয়ে ওয়াসফিয়া উত্তরের পথ দিয়ে গত বৃহস্পতিবার ‘পিকো ডে ওরিজাবার’ চূড়ায় পৌঁছান।
ওয়াসফিয়া ২০১৬ থেকে গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন।
মাউন্ট ডেনালি (প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এর চূড়ায়ও উঠেছেন ওয়াসফিয়া) ও মাউন্ট লোগানের পরে উত্তর আমেরিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ‘পিকো দে ওরিজাবা’। এ আগ্নেয়গিরিটি অ্যাজটেকদের নাহুয়াটাল ভাষায় ‘সিটলালটেপেটল’ নামে পরিচিত, যার অর্থ ‘তারকা পর্বত’।
এটি ট্রান্স-মেক্সিকান আগ্নেয় বেল্টের পূর্বে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার ৬৩৬ মিটার (১৮ হাজার ৪৯১ ফুট) উঁচু। আগ্নেয়গিরিটি বর্তমানে সুপ্ত অবস্থায় আছে।
ওয়াসফিয়ার কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, “গ্রামীণফোন গতানুগতিকতার বাইরে বড় অর্জনে বিশ্বাসী। বিগত বছরগুলোতে এ বিশ্বাসই আমাদের বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ওয়াসফিয়া তার নিজের ক্ষেত্রে সেরা, যেটা আমাদের বিশ্বাসেরই প্রতিধ্বনি। তিনি গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ায় আমরা গর্বিত।”
মেক্সিকোর যে তিনটি আগ্নেয়গিরিতে এখনো হিমবাহ আছে তাদের মধ্যে ‘পিকো দে ওরিজাবা’ একটি। আর মেক্সিকোর সর্ববৃহৎ হিমবাহ গ্রান গ্লেসিয়ার নর্তে এখানেই অবস্থিত।
প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ওয়াসফিয়া নাজরীনই প্রথম এই সুউচ্চ আগ্নেয়গিরি জয় করলেন বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
২০১২ সালের ২৬ মে ওয়াসফিয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেন।
২০১৫ সালে তিনি প্রথম ও একমাত্র বাঙালি হিসেবে সেভেন সামিট জয়ের দুর্লভ রেকর্ড করেন। গতবছর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির মর্যাদাপূর্ণ ‘ইমার্জিং এক্সপ্লোরার’ পুরস্কারও জেতেন তিনি। সূত্র: বিডিনিউজ