বসন্তের শেষ পর্যায়ে বৃষ্টি ও হিমেল হাওয়া পরিবেশটাকে আবার শীতল ও আর্দ্র করে তুলেছে। তাই কেউ কেউ আবার আক্রান্ত হচ্ছেন হাঁপানি, কোল্ড অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট ও কাশির সমস্যায়। এ সময় সুস্থতার জন্য কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে:
হাঁপানি রোগীদের জন্য শেষ রাতে হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ার বিষয়টা খারাপ। এই সময়েই কাশি ও শ্বাসকষ্ট বাড়ে। তাই ভোরে বা শেষরাতে উঠতে হলে গায়ে ফুলহাতা জামা বা পাতলা চাদর জড়িয়ে নিন। বাথরুমে বা অজুতে হালকা গরম পানি ব্যবহার করাই ভালো।
ঠাণ্ডার রোগীদের এই আবহাওয়ায় ভোরে হাঁটতে না যাওয়াই ভালো। একটু দেরিতে, সূর্যের তাপ বাড়লে বা বিকেলে হাঁটা উচিত। আকাশ মেঘলা থাকলে বা বৃষ্টি হলে বাইরে হাঁটা থেকে বিরত থাকুন। কেননা গায়ে বৃষ্টির ফোঁটা পড়লে চট করে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
ঠাণ্ডা পানি বা পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো। বরং এ রকম আবহাওয়ায় গরম চা-কফি বা ধোঁয়া ওঠা স্যুপ গ্রহণ করলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে।
শিশুদের একটু ভারী জামাকাপড় পরিয়ে রাখুন। বাইরে যাওয়ার আগে জুতা-মোজা পরানো উচিত। রাতে পাতলা কাঁথা বা চাদর গায়ে রাখুন।
হাঁপানি রোগীরা নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার এই সময়েও চালু রাখুন। কাশি বা শ্বাসের টান বাড়তে দেখলে ইনহেলারের মাত্রা বাড়াবেন কি না চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন। কাশির সঙ্গে জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, তবে নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। কেননা এই সময়ে বেশির ভাগ জ্বর-কাশিই ভাইরাসজনিত।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিনযুক্ত খাবার (বিশেষ করে তাজা ফলমূল) বেশি বেশি খান।
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
সৌজন্যে : প্রথম আলো