একটি পূর্ণাঙ্গ পটকা মাছের বিষে ৩০ জন মানুষেরও মৃত্যু ঘটতে পারে। পটকা মাছের বিষ সায়ানাইডের চেয়ে এক হাজার
২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত।
এ কথা জানিয়ে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান।
আজ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার জেলার জৈন্তাপুরে পটকা রান্না করে খাওয়া দুই পরিবারের পাঁচজনসহ মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়।
এখনও সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে অসুস্থ ২৬ জন নারী, পুরুষ ও শিশু চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এঘটনার পরপরই সিলেটের সর্বত্র সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলায় একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা
হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘পটকা কোনো মাছ নয়, একধরণের জলজ প্রাণী। এর মাথায় একধরনের বিষ থাকে।
জনসাধারণকে এটি ক্রয়-বিক্রয়, রন্ধন ও ভক্ষণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানান তিনি।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এনায়েত হোসেন বলেন, এ ধরনের বিষক্রিয়ায় আক্রান্তদের ব্রেনের নার্ভাস
সিস্টেম দুর্বল করে দেয়। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে দ্রুত মারা যায় রোগীরা।’
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা বাজারে প্রকাশ্যে পটকা মাছ হিসেবে বিক্রি হয়। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ এটাকে মাছ
হিসেবে খেয়ে থাকেন। সৌজন্যে: বাসস