কাজ করতে করতে ক্লান্ত? কিছুই ভালো লাগছেনা? একটু ঘুমিয়ে নিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লম্বা ঘুম সম্ভব না হলে, কাজের ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারলে তাতেও অনেক উপকার।
ক্লান্তি দূর করে, শক্তি জোগায় ঘুম
সুস্থ জীবনের জন্য দিনে দুবার ঘুমানো দরকার। রাতের ঘুমের বাইরে একবার সামান্য একটু ঘুমিয়ে না নিলে কর্মক্ষমতা কমে। মন-মেজাজেও তার প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাজের ফাঁকের সামান্য ঘুমও হৃৎস্পন্দনের হার শতকরা ৫ ভাগের মতো কমায় এবং কাজে মনোনিবেশের ক্ষমতা বাড়ায় শতকরা ৩০ ভাগের মতো।
ঘুম ভুল কমায়
হ্যাঁ, কাজে ভুলের হারও কমায় ঘুম। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নির্ভুল কাজের জন্য খুবই দরকার। প্রয়োজনমতো বিশ্রাম নিলে শরীর ও মন দীর্ঘক্ষণ কাজের ধকল সহ্য করার মতো করে প্রস্তুত হয়।
ঘুমালে শুনবেন, বুঝবেন, দেখবেনও ভালো
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভালো ঘুমের পর মানুষ নাকি শব্দ ভালোভাবে শোনে, সব ধরণের রং পরিষ্কার দেখে, এমনকি বোঝার ক্ষমতাও নাকি বাড়ে।
প্রেম বাড়ায়…
ঘুম ভালো হলে শরীরে রক্তপ্রবাহ শতকরা ৭ ভাগ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্ত শরীরের সব অংশেই পৌঁছে যায়। বিশেষজ্ঞরা মানুষের অনুভূতিতেও ঘুমের খুব ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করেছেন। ঘুম ভালো হলে নাকি প্রিয়জনের প্রতি আকর্ষণ এবং ভালোবাসাও বাড়ে!
ঘুমিয়েও কমানো যায় ওজন
বেশি ঘুমালে মানুষ মোটা হয়ে যায়- এই ধারণাটাকে বোধহয় আগামীতে হেসেই উড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম বেশি হলে বরং ওজন কমে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, ঘুম বেশি হলে বিপাক প্রক্রিয়া ঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, ফলে যেসব খাদ্য উপাদান মেদ বাড়ায় সেগুলো হজম হয়ে যায়। সুতরাং মেদ কমাতে শুধু খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম, খেলাধুলাই নয়, পাশাপাশি ঘুমের দিকেও মনযোগ দিতে হবে বৈকি! সূত্র : ডয়চে ভেলে