বিপিএলে দু’জনই ছিলেন ভিন্ন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির আইকন। প্রথম শ্রেণীর ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভিন্ন অঞ্চলের হওয়ায় খেলেন আলাদা আলাদা দলে। জাতীয় দল ছাড়া ক্রিকেটের অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে তাই সাকিব-মুশফিকের এক ড্রেসিংরুমে থাকার সুযোগ মেলে না। পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লীগ পিএসএলে বদলে যাচ্ছে সে দৃশ্য। সাকিব আল হাসানের করাচি কিংসের জার্সিতে খেলবেন মুশফিকুর রহিমও।
দু’দিনব্যাপী ড্রাফটের শেষ দিনে গতকাল মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর ২০১৫) শোয়েব মালিকের দলটি মুশফিককে নিয়েছে সিলভার ক্যাটাগরি থেকে। সাকিব-তামিম-মুস্তাফিজের পর মুশফিক মিলিয়ে পিএসএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটার চারজন। ৩০৮ ক্রিকেটারের মধ্য থেকে গত দু’দিনে পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বেছে নিয়েছে মোট ৯৮ জন ক্রিকেটার।
তামিম-মুস্তাফিজের মতো মুশফিকও ছিলেন গোল্ড ক্যাটাগরিতে। তবে প্রথম দিন দল না পাওয়ায় মুশফিকের নাম ওঠে সিলভারে। এই ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা ২৫ হাজার ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১৯ লাখের বেশি) করে পাবেন। ক্যাটাগরি অবনমন হয়ে সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন অবশ্য পাকিস্তানের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলি। ডায়মন্ড ক্যাটাগরিতে থাকা আজহারকে কোনো দলই ডায়মন্ড বা গোল্ড ক্রিকেটার হিসেবে নেয়নি। ড্রাফটের শেষদিকে মুস্তাফিজুর রহমানের লাহোর কালান্দার্স তাকে দলে নিয়েছে সর্বশেষ সিলভার ক্রিকেটার হিসেবে। ২০০৯ সালে পাকিস্তানকে টি২০ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ইউনুস খান অবশ্য কোনো দলই পাননি। অলরাউন্ডার আবদুর রাজ্জাককে লাহোর কালান্দার্স নিয়েছে সাপ্লিমেন্টারি ক্রিকেটার হিসেবে। একই বিভাগে দল পেয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা (কোয়েটা), আসহার জাইদি ও সাইদ আজমল (ইসলামাবাদ), তিলকারত্নে দিলশানরা (করাচি)। এই বিভাগের ক্রিকেটাররা টুর্নামেন্টে খেলতে না নামলে কোনো পারিশ্রমিক পাবেন না। সাঙ্গাকারা-দিলশান-রাজ্জাকদের পিএসএল চলাকালে মাস্টার্স চ্যাম্পিয়ন্স লীগ (অবসর নেওয়া ক্রিকেটার নিয়ে টুর্নামেন্ট) খেলার কথা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে পিএসএল মাঠে গড়াবে ৪ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি। সৌজন্যে : সমকাল