থাইল্যান্ডের ভাসমান বাজারের অনুকরণে কলকাতাতে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে চালু হয়েছে দেশের প্রথম ভাসমান বাজার। তবে বেচাকেনা শুরু হয়েছে পরদিন থেকে।
দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে গড়ে ওঠা এ ভাসমান বাজার হাতের কাছে পেয়ে স্থানীয় মানুষ খুবই খুশি। এদিন সকালবেলা থেকেই মানুষ ভিড় জমিয়েছে বাজারে। বিক্রেতারাও সমানভাবে উৎফুল্ল। এ বাজারের উদ্বোধনের পর পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, বাইপাসের ধারের এ জলা অঞ্চলটি নোংরা হয়ে পড়েছিল।
২০১৬ সালে সেখানেই ভাসমান বাজার করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো হুগলির বলাগড়ের নৌকা তৈরির কারিগরদের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ১১৪টি নৌকা। এই নৌকাতেই পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
প্রতি নৌকাতে এক সময় রাস্তার কাজের জন্য উৎখাত হওয়া দু’জন করে হকার জায়গা পেয়েছেন।
মোট ২২৮ জন হকারকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে এ বাজারে। নৌকায় যাওয়ার জন্য কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি হয়েছে রাস্তা। ক্রেতারা পাটাতনে দাঁড়িয়ে থেকে নৌকার উপরে মালপত্রসহ থাকা বিক্রেতার কাছ থেকে জিনিস কিনছেন।
জানা গেছে, শহরের অন্য সব বাজারের মতো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে এ বাজার।
বাজারে বিক্রি হচ্ছে আনাজপাতি থেকে শুরু করে মুদি সামগ্রীও।
কাঁচা সবজির পাশাপাশি মাংস, ডিম, মাছও বিক্রি হচ্ছে।
নগরোন্নয়ন সূত্রের খবর, আগুনের প্রবেশ এই বাজারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথেষ্টই রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, বাজারটি যে জলাশয়ের ওপর গড়ে তোলা হয়েছে তার পানি সব সময়ে পাঁচ ফুটের নিচে রাখা হবে। পানি বেড়ে গেলে তা পাম্প দিয়ে তুলে নেওয়া হবে। আবার পানি কমে গেলে গভীর নলকূপ দিয়ে তা পূরণ করা হবে। তবে বাজারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসন খুবই সতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এ বাজারে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিক্রেতারা যাতে হুড়োহুড়ি না করেন বা পাটাতনের ধারের রেলিংয়ে ঝুঁকে না থাকেন সেজন্য সতর্ক করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সূত্র: মানবজমিন