কলোম্বিয়ার সরকার এবং ফার্ক বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত চলাকালীন সময়ে বিদ্রোহীরা দেশটির বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার দখল করে রেখেছিল৷ তবে শান্তি চুক্তির পর থেকে দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়৷
সাতরঙা নদী
লা মাকারেনা ন্যাশনাল পার্কে ক্যানো ক্রিস্টালেস নদী বয়ে চলেছে৷ এই নদীটি ‘সাত রঙা’ নদী নামে পরিচিত৷ নদীতে নীল, লাল, সবুজ, গোলাপী এবং কালো রঙের ছায়া দেখা যায়৷ পানির নীচে লাল রঙের মাকারেনিয়া ক্লাভিখেরা উদ্ভিদের কারণে এমন রঙের ছড়াছড়ি৷ জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে সুন্দর রং দেখা যায়৷
ল্যান্ড মাইন থেকে ইকোটুরিজম
সেরানিয়া দে লা মাকারেনা পর্বত ফার্ক বিদ্রোহীদের আস্তানা ছিল৷ শান্তি চুক্তির পর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় বিদ্রোহীরা এখন সফলতার সঙ্গে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প গড়ে তুলছে সেখানে৷ স্বেচ্ছাসেবী প্রকল্পের আওতায় ভূমি মাইনগুলো সরিয়ে, কোকেইন চাষের জমি উজার করে বানানো হচ্ছে পার্ক৷
জলপথ
ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কোল ঘেষে এই জলপথটি ফার্ক বিদ্রোহীরা প্রতিবেশী দেশে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করত৷ বর্তমানে হাইকিং, পাখি দেখাসহ নানা কাজে এখানে পর্যটকরা আসেন৷
ইউনেস্কো ঘোষিত সৌন্দর্য
কলোম্বিয়ার প্রথম জাতীয় উদ্যান ছিল কুয়েভা দে লোস গুয়াচারোস, যেটি নির্মাণ হয় ১৯৬০ সালে৷ ১৯৭৯ সালে এটিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো৷
অয়েল বার্ড-এর আস্তানা
গুয়াচারোস ‘অয়েল বার্ড’ নামেও পরিচিত, এটি কবুতরের মত দেখতে এক ধরনের পাখি, যারা রাতের বেলায় এই সব গুহার ভেতর খাদ্যের খোঁজে আসে৷
তিমি দর্শন
প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে ‘গোরগোনা মের্জ’ দ্বীপে এই অরণ্য৷ জুন থেকে অক্টোবরে একধরনের তিমি এখানকার সমুদ্র সৈকতের খুব কাছ দিয়ে চলাচল করে৷
স্কুবা ডাইভিং
গোরগোনা দ্বীপের এই পার্কটিতে পরিবেশবান্ধব নানারকম কর্মকাণ্ড হয়৷ এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল স্কুবা ডাইভিং৷
আন্দিজ পর্বতমালা
শত শত বছর ধরে, কলোম্বিয়ার আন্দিজ পর্বতমালার কর্ডিলেরা ওরিয়েন্টালের বরফঢাকা পর্বতচূড়ায় বসবাস করছে ‘ইউওয়া’ আদিবাসী গোষ্ঠী৷ এলাকাটিতে এল কোকুই ন্যাশনাল পার্কের অবস্থান৷ পর্বতচূড়ার উচ্চতা ১৭ হাজার ৩০০ ফুট৷
পর্বতারোহীদের স্বর্গ
এল কোকুই ন্যাশনাল পার্ক পর্বতারোহীদের স্বর্গ হিসেবে পরিচিত৷ সৌজন্যে : ডয়েচেভেলে