Skip to content

কাঁঠালের রাজধানীতে একদিন

:: সুমন্ত গুপ্ত ::
এখন জ্যৈষ্ঠ মাস শেষ শেষ; চারদিকে মৌসুমী ফলের মৌ মৌ গন্ধ। আর এই গন্ধের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে জাতীয় ফল কাঁঠাল। পথের ধারে অস্থায়ী কিংবা বাজারের স্থায়ী দোকানে সাজানো রয়েছে রসালো এই ফল। আর তাতে আকৃষ্ট হয়ে কিনে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা। গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রায় সব এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় কাঁঠাল। এখানকার স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রতিদিনই বসে কাঁঠালের হাট। কথিত আছে, ফলের জন্য বিশেষ করে কাঁঠালের জন্য বিখ্যাত গাজীপুর। কেউ কেউ আবার এ জেলাকে ‘কাঁঠালের রাজধানী’ও বলে থাকেন। দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের বাজারও জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায়। আপনি চাইলে আসছে ছুটির দিনগুলোতে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন কাঁঠালের রাজধানী থেকে ।

  যা দেখবেন
বাড়ির উঠানে কাঁঠাল, ঘরে কাঁঠাল, বাইরে কাঁঠাল, গাছে কাঁঠাল, গাছের তলায় কাঁঠাল- চারদিকে শুধু কাঁঠাল আর কাঁঠাল। বাজারজুড়ে কাঁঠালের স্তূপ। মহাসড়কের দু’পাশে স্তূপ আকারে পড়ে আছে হাজার হাজার কাঁঠাল। পাকা কাঁঠালের গন্ধ মৌ মৌ করে চারদিকে। এই সময়ের পরিচিত একটি দৃশ্য এটা।

উপজেলার কালীগঞ্জ বাজার, নাগরী বাজার, উলুখোলা বাজার, বক্তারপুর বাজার, ফুলদী বাজার, জাঙ্গালীয়া বাজার, আলাউদ্দিরটেক বাজার, আওয়াখালী বাজার, দোলান বাজার, জামালপুর বাজার, সাওরাইদ বাজারে প্রতিদিনই বসে কাঁঠালের হাট। প্রতিদিন ভোরে বাগান থেকে পাকা কাঁঠাল সংগ্রহ করে পুরুষরা তা বিক্রির জন্য ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি, টমটম, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও অটোরিকশায় করে নিয়ে আসেন বাজারে। মৌসুমের প্রতিদিনই ওই বাজারগুলোতে বিক্রি হয় লাখ লাখ কাঁঠাল। দিনে-রাতে প্রায় সব সময়ই চলে এ বেচাকেনা। তবে সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তাই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা আসে উপজেলার ওই বাজারগুলোর কাঁঠালের হাটে। আর কালীগঞ্জের কাঁঠাল নিয়ে যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরগুলোতে। কাঁঠালের এই মৌসুমকে কেন্দ্র করে বাগান থেকে কাঁঠাল বাজারে আনা, কেনাবেচা, গাড়িতে ওঠানো-নামানোসহ এর সাথে জড়িত কয়েক হাজার লোক। আর হাজার হাজার মানুষকে ব্যস্ত থাকতে হয় কাঁঠালের এই মৌসুমের সময়কে ঘিরেই।

যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বিভিন্ন ভাবে যেতে পারবেন গাজীপুরের কালীগঞ্জে। যাবার প্রথম পথ হলো গুলিস্তান থেকে নরসিংদী গামী বাসে উঠে নামতে হবে নরসিংদীর পাঁচদোনায় সেখান থেকে কালিগঞ্জগামী বাসে উঠতে হবে। মহাখালী থেকে যেতে চাইলে আপনাকে উঠতে হবে চলনবিল/বাদশা বাসে।খরচ পড়বে ১৩০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা অথবা গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। খরচ পড়বে ২০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা। সৌজন্যে: এনটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *