Skip to content

কান ব্যথা? সমস্যা নেই, ওষুধ রয়েছে রান্নাঘরেই

প্রায়শই ছোট-বড় অনেকের কান ব্যথা করার কথা শোনা যায়? সমস্যা নেই আপনার রান্নাঘরেই রয়েছে এর সমাধান। অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই এই ব্যথা সারতে পারে পেঁয়াজের গরম ভাঁপ দিয়ে। চলুন জানা যাক কীভাবে।

Earache

কী কী কারণে কান ব্যথা হয়?
বাইরের কোনো সংক্রমণ থেকে কানের ভেতরে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস জন্মালে কানে ব্যথা হতে পারে। যেমন সাতাঁর কাটা, ঠাণ্ডা লাগা, কানের পর্দায় আঘাত লাগা বা কোনো ধরনের অ্যালার্জি, কানে ময়লা বা খৈল জমা, এমনকি দাঁত বা চোয়ালের সমস্যা থেকেও কানে ব্যথা হতে পারে। তবে কার কী কারণে কান ব্যথা হচ্ছে, তা ডাক্তারের কাছ থেকেই জেনে নেওয়া উচিত।

কানব্যথা এড়িয়ে চলতে কী করবেন?
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, গাড়ি, বাস বা ট্রেনে যাতায়াতের সময় অবশ্যই মাথা এবং কান ঢেকে রাখবেন, বন্ধ করে দেবেন জানালা। কারণ ‘‘দুই দিকের জানালা খোলা থাকলে ঠাণ্ডা বাতাস এবং ধুলোবালি কানে লাগে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা থেকেই কান ব্যথা বা কানে সংক্রমণ হয়।’’ এই সাবধানবাণী জার্মানির নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডা. মিশায়েল বনডর্ফের।

সাবধান হতে বাথক্যাপ পরে নিন
ডাক্তারের আরো পরামর্শ, সাঁতার কাটার সময় অবশ্যই বাথক্যাপ পরে নেবেন। কারণ স্নান করা বা সাঁতার কাটার সময় কানে পানি ঢুকে গেলেও কানে সংক্রমণ হতে পারে। তাই সাঁতার বা গোসলের পর ভালো করে কান মুছে ‘হেয়ায়ড্রায়ার’ দিয়ে চুল শুকিয়ে নেওয়াও ভালো। ডা. বনডর্ফ জানান, সাধারণত কানে পানি ঢুকে ‘ইনফেশন’ হয় গ্রীষ্মকালে।

ব্যথা সারতে পেঁয়াজের পুটলি
পেঁয়াজে রয়েছে সংক্রমণ দমনকারী এক পদার্থ, যা কানের ব্যথা বা সংক্রমণে বেশ উপকারী। কীভাবে করবেন? প্রথমে একটি বা দু’টি পেঁয়াজ ছোটছোট করে কেটে নিন, তারপর গরম করুন এবং গরম পেঁয়াজের টুকরোগুলো একটি পরিষ্কার কাপড়ে ঢেলে পুটলি করে নিন। লক্ষ্য রাখবেন পেঁয়াজ যেন অতিরিক্ত গরম না হয়। পুটলিটাকে যেখানে ব্যথা বা ফোলা সেখানে আধঘণ্টা ধরে রাখুন।

কানের ব্যথায় অলিভ ওয়েল
আরো একটি উপায় হচ্ছে, কানে ব্যাথা হলে গরম অলিভ ওয়েলে একটি ছোট নরম কাপড় ভিজিয়ে সেটা কানের ঠিক পেছনে কয়েক মিনিট চাপ দিয়ে রাখুন। দেখবেন এতে অনেক আরাম বোধ করছেন এবং ব্যথাও কমে গেছে।

সাথে জ্বর হলে পেপারমিন্ট বা মেন্থল
কানব্যথা সারাতে পেপারমিন্ট বা মেন্থল যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে৷ তবে কানব্যথার সাথে যদি জ্বরও থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। তাছাড়া ‘‘ভেষজ ওষুধে যাঁরা বিশ্বাসী নন, তাঁদের ডাক্তারের পরমর্শ না নিয়ে তা ব্যবহার করাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়’’ – এ কথা বলেন জার্মানির ড্যুসেলডর্ফ শহরের নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডা. বনডর্ফ।

নিজে কান পরিষ্কার না করাই ভালো
‘‘অনেকে নিজে কান পরিষ্কার করতে গিয়ে হিতে বিপরিত হয়ে থাকে’’ – নিজের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন ডা. বনডর্ফ। এছাড়াও তাঁর বিশেষ পরামর্শ, ‘‘দিনে দুই থেকে তিন লিটার জল পান করুন। কারণ এতে কানের ত্বক বা পর্দার ভেতরে লুকিয়ে থাকা জীবাণুগুলো বেরিয়ে পরিষ্কার হয়ে যায়।’’ সূত্র : ডয়চে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *