Skip to content

কালো নদীর চার শ’ দ্বীপ

আমাজন রেইন ফরেস্টের সবচেয়ে বড় আর বিখ্যাত নদীটির নামও আমাজন। তবে আমাজনের শাখা নদী ‘রিও নিগ্রো’র খ্যাতিও কম নয়। এই খ্যাতি এটার কালো জলের জন্য। এই নদী নিয়ে লিখেছেন নাবীল অনুসূর্য

Rain-Forest

পানিতে এসিডের পরিমাণ একটু বেশি থাকায় রিও নিগ্রোর পানি কালো দেখায়। পৃথিবীর দীর্ঘতম কালো পানির নদীও এটি। রিও নিগ্রোকে কেন্দ্র করে বসবাস করা পশু-পাখির সংখ্যাও কম না। এর বুকে বাস করা মাছ আর অন্যান্য জলজ প্রাণীও আছে ঢের।

রিও নিগ্রোও নদীটি গা গতরেও অনেক বড়। বর্ষাকালে এতে ভালোই পানি হয়। তাতে নদীটিকে ঘিরে বসত গড়া পশু-পাখি ও পোকামাকড়দের বেশ বিপদেই পড়ার কথা; কিন্তু আদতে তা ঘটেই না। কারণ আনাভিয়ানাস দ্বীপপুঞ্জ। আশপাশের নিচু বন সব ডুবে গেলেও, এই দ্বীপপুঞ্জের প্রায় চার শ’ দ্বীপ ঠিকই মাথা উঁচিয়ে থাকে। বানভাসি পশু-পাখি, পোকামাকড়সহ সবার আশ্রয় হয় সেসব দ্বীপে।

এই আনাভিয়ানাস দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান ব্রাজিলের মানাআউস শহর থেকে আরো ৭০ কিলোমিটার উজানে। সেখানে রিও নিগ্রো রীতিমতো ৩০ কিলোমিটার চওড়া। ১৯৯৭ সালে দ্বীপপুঞ্জটিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অচিরেই ইউনেসকোর হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা পাওয়ার সম্ভাবনাও আছে এর।

Rain-Forest2

এখন প্রশ্ন হলো, রিও নিগ্রো নদীর মাঝখানে এমন উঁচু শ’ চারেক দ্বীপ এলো কোত্থেকে?

আমাজন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয় ব্রাজিলের আরেক নদী ‘রিও ব্রাঙ্কো’। সাদা পানির এই নদীর ধারা এসে মিশেছে কালো পানিরর রিও নিগ্রোতে। পর্তুগিজ ভাষায় এই নদী দুটির নামের মানেও হচ্ছে ‘সাদা নদী’ আর ‘কালো নদী’। এই রিও ব্রাঙ্কো নদীর আসার পথে পড়ে ‘গায়ানা পাহাড়’। ওই পাহাড়ের যত বর্জ্য, ধুলাবালি, পাথর-চুনা সব ব্রাঙ্কো বয়ে নিয়ে এসে ফেলে রিও নিগ্রোতে। আর সেসব ধীরে ধীরে জমেই জন্ম এই আনাভিয়ানাস দ্বীপপুঞ্জের। সেগুলো সব মিলে আকারে-আয়তনেও নিতান্ত কম নয়। নদীর বুকে ৯০ কিলোমিটারজুড়ে গড়ে ওঠা এই দ্বীপপুঞ্জের আয়তন প্রায় এক লাখ হেক্টর! সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *