জাহাজ চলাচলের জন্য সুয়েজ খালের বর্ধিতাংশ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এটি উদ্বোধন করেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। খালের বর্ধিতাংশের উদ্বোধনকে মিশরের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বলে বর্ণনা করেন তিনি।
সামরিক পোশাক ও সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন সিসি। তার দাবি, এর ফলে মিশরের অর্থনীতিতে নতুন গতি ফিরে আসবে। গত কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা মিশরের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করেছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ, বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা, কুয়েতের আমির মেখ সাবাহ আল আহমেদ আল সাবাহ, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, গ্রিক প্রধানমন্ত্রী এ্যালেক্সিস সিপ্রাস, সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির ও ইয়েমেনের নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আবদ-রব্বু মনসুর হাদি।
ঐতিহাসিক সুয়েজ খালের এই বর্ধিতাংশ নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৮৫০ কোটি মার্কিন ডলার যার পুরোটাই দেশীয় বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালের মধ্যেই এই বর্ধিতাংশ দিয়ে নৌযান চলাচল বাবদ পাওয়া বার্ষিক শুল্কের পরিমাণ ১৩২০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে।
১৮৬১ সালে সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়, যা শেষ হয় ১৮৬৯ সালে। খালটি নীলনদ হয়ে ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে যুক্ত করেছে। এর ফলে ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে জাহাজ চলাচল সহজ হয়েছে। এটাই পৃথিবীর একমাত্র মানবসৃষ্ট খাল, যা দুটি সমুদ্রকে একত্রিত করেছে। সূত্র : আল জাজিরা