Skip to content

ঘাম নিয়ে যত কথা

123গরমের সময় সব মানুষই কম বেশি ঘামেন৷ ঘাম থেকে কারও কারও শরীরে দুর্গন্ধ তৈরি হয় যেটা আশেপাশের মানুষের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে৷ ছবিঘরে থাকছে ঘাম নিয়ে কিছু কথা।

ঘামের গুরুত্ব : ত্বক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্রিস্টিয়ান রাউলিন বলেন, ঘাম একটি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক প্রক্রিয়া। অতিরিক্ত গরমের সময় ঘাম শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে। কখনও কোনো রোগের কারণে যদি ঘামের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে অতিরিক্ত গরম থেকে মানুষের হিটস্ট্রোক হতে পারে, যা মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।

রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে : গবেষণায় জানা গেছে, শরীরে থাকা প্রায় ৩০ শতাংশ বর্জ্য ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এভাবে ঘাম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।

ত্বকের উপকার : ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়াও ঘামের মাধ্যমে অপসারিত হয়ে থাকে৷ ফলে চামড়া পরিষ্কার, মসৃণ ও নরম হয়।

বেশি ঘামা স্বাভাবিক নয় : কম ঘাম যেমন ঠিক নয় তেমনি বেশি ঘামাটাও অসুস্থতার লক্ষণ। এর ফলে শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ঘামাকে ‘হাইপারহাইডড্রোসিস’ বলে।

অতিরিক্ত ঘামের কারণ : অনেক কারণে হাইপারহাইডড্রোসিস হতে পারে৷ উচ্চ তাপমাত্রা এর মধ্যে একটি। এছাড়া অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলে, শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা হলে, মানসিক চাপ ও ভয়ের জন্যও হাইপারহাইডড্রোসিস হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন।

গন্ধ এড়াতে : ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারে এমন ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া সুতি কাপড়ের পোশাক পরতে পারেন। জুতা পরার ক্ষেত্রেও সহজে আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে এমন উপাদান দিয়ে তৈরি জুতা ব্যবহার করা যেতে পার।

ঘামের গন্ধের কারণ : শরীর থেকে যখন ঘাম বের হয় তখন তাতে কোনো গন্ধ থাকে না। কিন্তু ঘাম যখন শরীরের ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংষ্পর্শে আসে তখনই গন্ধ তৈরি হয়। এছাড়া কী খাবার খাচ্ছেন এবং অসুস্থতার কারণেও ঘামে গন্ধ হয়।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *