চাকচিক্যময় দুবাইয়ের সেকাল একাল
উদ্ভট কার্যকলাপের জন্য ইতোমধ্যেই বিখ্যাত প্রাচ্যের দেশ দুবাই। বাঘের পিঠে চড়া কিংবা স্বর্ণের মোবাইল চালানোর মতো বিলাসিতাপূর্ণ পাগলামো একমাত্র দুবাইয়ের শেখদের পক্ষেই সম্ভব। বিলাস বৈভবের এমন কোনো উপাদান নেই যা দুবাইয়ের পাওয়া যাবে না। দেশটির অর্থনীতি তেলের উপর নির্ভর করলেও পর্যটন খাত থেকে প্রতিবছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় দেশটির। তবে আজকের এই চাকচিক্যময় দুবাইয়ের অবস্থা কিন্তু শুরু থেকেই এমন ছিল না।
আজ থেকে মাত্র ৫০ বছর আগেও দুবাই ছিল বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু নগর পরিকল্পনাবিদদের পরিকল্পনা আর দুবাই শেখদের উচ্চাশা দুয়ে মিলে মাত্র ৫০ বছরেই পাল্টে গেলে জীর্ণ দুবাইয়ের চেহারা। বর্তমান দুবাইয়ের সবেচেয়ে ব্যয়বহুল এবং মনোমুগ্ধকর স্থান হলো দক্ষিণ বিচ ও বেনিদ্রম। শুরুতে এই দুটি স্থানে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন স্বল্প মূল্যের প্যাকেজ পরিচালনা করা হতো এই স্থানগুলোর রিসোর্ট থেকে। কিন্তু পারিপার্শ্বিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এখন আর এই দুটি স্থান মধ্যবিত্ত পর্যটকদের আওতার মধ্যে নেই। দক্ষিণ বিচের কিছু রিসোর্ট গোটা বছর ভর্তি থাকে পর্যটকে। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো রিসোর্টে এক বছর আগে থেকেই রুমের জন্য বুকিং দিতে হয়।
বিশেষত ১৯৬০ সালের ইউরোপ প্যাকেজ ট্যুরিজমের প্রতি আগ্রহী হয়। তৎকালীন দক্ষিণ ইউরোপের অনেক দেশ থেকেই মানুষ ভিন্ন দেশে প্যাকেজ ট্যুরিজমে যেতে শুরু করে। বিগত ৪০ বছরে দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে স্পেনের পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। সেসময়ই মূলত ইউরোপের বেশ কয়েকজন পরিকল্পনাবিদ দুবাইয়ের এই দুটি স্থানকে পর্যটনকেন্দ্র বানানোর জন্য দুবাই প্রশাসন বরাবর পেশ করেন। সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে আজকের দুবাইয়ের এতো রমরমা অবস্থা। পাঠকদের জন্য দুবাইয়ের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো। প্রতিটি সাদাকালো ছবি হলো ওই স্থানটির সাবেক অবস্থা এবং এর পাশের রঙিন ছবিটি হলো বর্তমান অবস্থা।
সূত্র : বাংলামেইল