এত দিন মাঝপথে নামতে হতো। সেটা দর্শনা হোক বা গেদে। মালপত্রসহ ট্রেন থেকে নেমে যেতে হতো অভিবাসন ও শুল্ক সংক্রান্ত পরীক্ষার জন্য।
ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের আর এই যন্ত্রণা পোহাতে হবে না। কলকাতা ও ঢাকা স্টেশনেই এই কাজ সেরে ফেলা হবে।
বিমানবন্দরে ঠিক এমনটাই হয়। বিমানে ওঠার আগে এবং বিমান থেকে নামার পরেই অভিবাসন ও শুল্ক সংক্রান্ত পরীক্ষা হয়। কিন্তু, এত দিন ট্রেনপথে সেই সুবিধা মিলত না।
সোমবার বাংলাদেশ রেলের এডিজি হবিবুর রহমান ও ভারতীয় রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরেই চালু হবে নতুন এই পরিষেবা। এতে যাত্রার সময় নয় ঘণ্টা থেকে ৬-৭ ঘণ্টায় নেমে আসবে।
দু’দেশের যাত্রীরাই সীমান্তে দু’-তিন ঘণ্টা ধরে ওই ভোগান্তি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন দীর্ঘ দিন ধরে। অবশেষে দু’টি দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিমানে বিদেশযাত্রার মতোই মৈত্রী এক্সপ্রেসেও যাবতীয় পরীক্ষা হবে শুধু দুই প্রান্তে। মাঝে কোনও স্টেশনে নামা যাবে না। দু’দেশের এই সিদ্ধান্তে খুশি যাত্রীরা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা