পর্যটন শিল্পে ভালো সম্ভাবনা দেখছে মিয়ানমার। নতুন বছরে পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ প্রসারের আশা করছে দেশটি।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম ১১ মাসে মিয়ানমারে ৪২ লাখের বেশি পর্যটক এসেছে। এপ্রিল নাগাদ পর্যটকের সংখ্যা ৫০ লাখে পৌঁছাবে বলে আশা করছে মিয়ানমারের হোটেল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
পর্যটকের পাশাপাশি মিয়ানমারের এ খাতটিতে বিদেশি বিনিয়োগও বাড়ছে। গত বছর হোটেল ও পর্যটন খাতের ৪৭টি প্রকল্পে মোট ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।
যা ২০১১ সালের চেয়ে দেড় বিলিয়ন বেশি। সে বছর ৩৬টি প্রকল্পে মোট ১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল।
গত বছর মিয়ানমারের পর্যটন খাতে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে সিঙ্গাপুর থেকে। এর পর রয়েছে ভিয়েতনাম। গত বছর মিয়ানমারে ৪৪০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা।
বিনিয়োগের পাশাপাশি পর্যটক আকর্ষণ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে মিয়ানমারের হোটেল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বিলাসবহুল ক্রুজ শিপের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ১৭টি হোটেল নির্মাণ করেছে মন্ত্রণালয়।
এছাড়া বিদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য ১২ ধরনের এন্ট্রি ভিসা ও তিন ধরনের রি-এন্ট্রি ভিসা সুবিধা প্রবর্তন করা হয়েছে। এর বাইরে ব্যবসা, কর্মশালা, ক্রু ও ট্রানজিটের প্রয়োজনে আগতদের জন্য তিনটি বিমানবন্দরে অন-অ্যারাইভাল ভিসা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মিয়ানমারের পর্যটন খাতের প্রত্যাশিত উন্নয়ন অনেক বেশি নির্ভর করবে বৈশ্বিক ও আসিয়ান অর্থনীতির ওপর।
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিকল্পনায় ২০২০ সালে পর্যটক আগমন ৭৪ লাখ ৯০ হাজারে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে। মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি পর্যটক চীন, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে। সূত্র: সিনহুয়া