Skip to content

ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসের ভাড়া বাড়ছে

এক লাফে অনেকটা বাড়তে চলেছে মৈত্রী এক্সপ্রেসের ভাড়া। ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী ট্রেনের কেবিন ভাড়া এখন দুই হাজার ৩৮৬ টাকা। চেয়ার কোচের ভাড়া এক হাজার ৬৩২ টাকা। এই ভাড়া বাড়ছে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ।

৫৩৮ কিলোমিটার রেলপথে ভ্যাট ও ট্রাভেল ট্যাক্সসহ আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে প্রত্যেক কেবিন যাত্রীকে গুনতে হবে তিন হাজার ৪০০ টাকা। এর মধ্যে কেবিন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৫২২ টাকা। সঙ্গে ৩৭৮ টাকা ভ্যাট ও ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স।

এসি চেয়ার কোচের ভাড়া পড়বে আড়াই হাজার টাকা। এর মধ্যে ২৫২ টাকা ভ্যাট ও ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স।

দু’দেশের যাত্রীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স ধার্য করলেও, ভারত এখনও কোনও ট্রাভেল ট্যাক্স আরোপ করেনি।

ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ভাড়া বাড়ার একটি কারণ। তবে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয় ভাড়া বৃদ্ধিতে উৎসাহী হয়েছে বলেও কারও কারও মত। মৈত্রী থেকে বছরে বিপুল আয় করে লাভের মুখ দেখছে উভয় দেশের রেল।

প্রতি দিনই যাত্রীর চাপ থাকে কমলাপুরে মৈত্রীর কাউন্টারে। যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহের জন্য ভোর পাঁচটায় গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়। আবার সন্ধ্যা ৭টায় যখন মৈত্রীর ই-টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়, তখনও যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

কলকাতা ভ্রমণে মৈত্রী এখন আগের চেয়ে অনেক আরামদায়ক সার্ভিস। ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে আগে রেলে ১১ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন প্রান্তিক স্টেশন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও কলকাতার চিৎপুরে কাস্টমস-ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ায় সময় লাগছে সাকুল্যে আট ঘণ্টা।

এত দিন ভারতের গেদে স্টেশন এবং বাংলাদেশের দর্শনা স্টেশনে যাত্রীদের, এমনকী রোগী বা বৃদ্ধদেরও, মালপত্রসহ ট্রেন থেকে নেমে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস পরীক্ষা করাতে হতো। সেই বিড়ম্বনা দূর হয়েছে। প্রান্তিক স্টেশনে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সার্ভিস চালুর প্রথম দিনেই মৈত্রীর ৪৫৬টি আসনের সবগুলোই বিক্রি হয়ে যায়।

বর্তমানে ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে চার দিন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে। প্রতি রবি, বুধ, শুক্র ও শনিবার ঢাকা থেকে কলকাতায় ছুটছে মৈত্রী। এখন দাবি উঠেছে প্রতি দিনই মৈত্রী চলাচলের। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *