Skip to content

দাঁড়িয়ে পানি পানে দেহের ক্ষতি

পানির অপর নাম জীবন। এই কথা যেমন সত্যি তেমনে একথাও সত্য যে এই জীবনকে গ্রহণ করার একটা নিয়ম রয়েছে। পানি প্রয়োজনে তৃষ্ণা মেটায়। আবার অপ্রয়োজনে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বেনিয়ম হলে এই জীবনের এই মূল উপাদানই মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে।

বেশি করে পানি পান করার পরামর্শ চিকিৎসকরা দিয়েই থাকেন। কিন্তু কখন তা পান করা উচিত? আর কোন অবস্থায় পান করা উচিত? তা অনেকেই জানেন না।

যেমন ধরুন তৃষ্ণা পেলো আর দাঁড়িয়ে এক টানে পানি পান করলেন, কিন্তু জানেন কী দাঁড়িয়ে এভাবে পানি পান করে আপনি নিজের শরীরের কতটা ক্ষতি করছেন?

আমাদের শরীরে এমন অনেক ছাঁকনি রয়েছে যা পানির ক্ষতিকর উপাদানগুলিকে শুষে নেয়। দাঁড়িয়ে থাকলে এই ছাঁকনিগুলি সংকুচিত হয়ে থাকে। ফলে তা কাজ করতে পারে না। তাই দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করলে পানির ক্ষতিকারক উপাদানগুলি সরাসরি শরীরে প্রবেশ করে।

দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা তীব্র বেগে খাদ্যনালীর মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়ে সোজা নিম্ন পাকস্থলীতে ধাক্কা মারে। এর ফলে পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। ভবিষ্যতে যা বেশ বড় আকার নিতে পারে।

পানি কিডনিকে সচল রাখতে সাহায্য করে। একথা ঠিক। তবে একথাও ঠিক যে দাঁড়িয়ে পানি পান করা কিডনির পক্ষেও ক্ষতিকর। প্রবল বেগে যাওয়া পানির মধ্যে যে দূষিত পদার্থগুলি থাকে তা কিডনি পরিশ্রুত করতে পারে না। ফলে তা রক্তের সঙ্গে মিশে শরীরের ক্ষতি করে।

দাঁড়িয়ে পানি পান করলে অর্থ্রারাইটিস পর্যন্ত হতে পারে। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন। কারণ দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা শরীরের জলের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। আর দীর্ঘদিন ধরে এমনটা করলে অর্থ্রারাইটিসের সমস্যা দেখা যায়।

দাঁড়িয়ে পানি পান করলে ভবিষ্যতে নার্ভের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর ফলে একাধিক নার্ভে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে কোনও কারণ ছাড়াই মানসিক চাপ বা অ্যাংজাইটি বাড়তে শুরু করে। যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়।

আমাদের শরীরে প্রায় দেড় লিটার পর্যন্ত পানি জমতে পারে। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকলে একবারে বেশি পানি খাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে দেহে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। বারবার তৃষ্ণা পায়। সবসময় তো আর হাতের কাছে পানি থাকে না। তাই সারা দিনে পানি অনেক কম খাওয়া হয়।

তাই সুস্থ থাকুন। আর আগে কোথাও বসে একটি বিশ্রাম নিন। একটু সময় নিয়ে বেশি করে পানি পান করুন। শরীর সুস্থ থাকলে মন ও সুস্থ থাকবে। সৌজন্যে : বিবার্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *