ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পাহাড়ে ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সেখানকার প্রশাসন।
এখনও অন্তত ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন, তাই প্রশাসনের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
পাহাড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কয়েক হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন।
সিকিমের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
দার্জিলিং পাহাড়ে গত কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টির ফলেই এই ধস নেমেছে।
জেলা প্রশাসন বলছে, এক মিরিকেই মারা গেছে ৩০ জন আর কালিম্পংয়ে এই সংখ্যা ৬। এই দুটি জায়গাই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
এছাড়াও রম্ভি, কালিপোখরি, সুখিয়াপোখরি, গরুবাথান থেকেও ধসের খবর পাওয়া গেছে।
ভারত চীন সীমান্তের নাথু লা ও সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের সাথে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগরক্ষাকারী মূল রাস্তা –১০ নম্বর জাতীয় মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
সেনাবাহিনীর অধীন বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন ওই রাস্তার ধস সরানোর কাজ করছে। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ে উদ্ধার আর ত্রাণের কাজে সেনাবাহিনীকে তলব করা হয়েছে।
ভারত নেপাল আর ভারত-ভুটান সীমান্ত পাহারা দেয় যে বাহিনী, সেই সশস্ত্র সীমা বল বা এস এস বি-ও যোগ দিয়েছে উদ্ধার কাজে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জানিয়েছেন, তিনি নিজেই আজ রওনা হচ্ছেন দার্জিলিংয়ে উদ্ধারকাজ তদারক করতে আর তিনি যাওয়ার আগেই স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব ব্যানার্জীকে সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
পাহাড়ে একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে তিস্তা আর জলঢাকা নদীগুলিতে সতর্কতা জারী করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়।
তিস্তার ওপরে গাজলডোবা ব্যারাজ থেকে প্রায় ৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা