প্রকৃতির নির্মল রসায়নের এক অপরূপ আনন্দধারার দেখা পাওয়া যায় টাঙ্গুয়ার হাওরে। কখনো খানিক রোদ, আবার মুষলধারায় বৃষ্টি এ যেন চলতে থাকে কাব্যিক ছন্দে। অথৈ পানি, জলাবন, নীল আকাশ, পাহাড় ও চোখ জুড়ানো সবুজ এই হাওরকে সাজিয়েছে অপরুপ সাজে। টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি। মোট আয়তন ৬,৯১২ একর। তবে বর্ষাকালে এই হাওরের আয়তন বেড়ে প্রায় ২০ হাজার একর পর্যন্ত হয়। প্রায় ১৪০ প্রজাতির মাছ, ১২ প্রজাতির ব্যাঙ এবং ১৫০ প্রজাতির বেশি সরীসৃপের সমন্বয়ে জীববৈচিত্র্য গড়ে উঠেছে এই হাওরে। শীতকালে এখানে বিচরণ ঘটে প্রায় ২৫০ প্রজাতির অতিথি পাখির।
টাঙ্গুয়ার হাওড় থেকে ভারতের মেঘালয়ের পাহারগুলো দেখা যায়। মেঘালয় থেকে প্রায় ৩০টি ছোট বড় ঝর্ণা ও ছড়া এসে মিশেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে। এখানে রয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার। এই টাওয়ারের আশেপাশের পানি খুবই স্বচ্ছ হওয়ায় উপর থেকে হাওরের তলা দেখা যায়। টাঙ্গুয়ার হাওওে রয়েছে ছোট বড় প্রায় ৪৬টি দ্বীপের মত ভাসমান গ্রাম বা দ্বীপ গ্রাম।
যোগাযোগ: ০১৬১২ ৩৬০৩৪৮, ০১৫৩৩ ২০৬৯৯৪
ভ্রমণ শুরু: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা। ফেরার তারিখ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রবিবার ভোরে।
জনপ্রতি ভ্রমণ খরচ: ট্রলারে রাত যাপন করলে ৪,৫০০/= টাকা, হোটেলে রাত যাপন করলে ৫,০০০/= টাকা এবং হোটেলে এসি রুমে থাকলে ৫,৫০০/= টাকা। তিন বছরের নিচে ফ্রি।
যাত্রার তারিখ: ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১০টা।
বুকিংয়ের শেষ তারিখ: আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
সাইটসিয়িং: টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটা নদী, বারিক্কা টিলা, ১০০ বিঘার শিমুল বাগান, হাওর ওয়াচ টাওয়ার, টেকের ঘাট, নিলাদ্রী লেক, লাকমাছড়া।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
১৯ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার
ঢাকার ফকিরাপুল থেকে রাত ১০টায় নন এসি বাসে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ যাত্রা। সারা রাত গাড়িতে অবস্থান।
২০ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার
সকালে সুনামগঞ্জ নেমে রিজার্ভ করা লেগুনায় যাবো তাহিরপুর। সকালের নাস্তা শেষে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে উঠে যাবো রিজার্ভ ট্রলারে। প্রথমেই যাব টেকের ঘাট। একদম সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম। হাওরের শেষ আর ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ের শুরু এখানে। এরপর চুনাপাথরের লেক নিলাদ্রী আর লাকমাছড়া দেখে আসব ওয়াচ টাওয়ারে। এখান থেকে পাখির চোখে দেখব নয়নাভিরাম টাঙ্গুয়ার হাওর। তারপর টাঙ্গুয়ার টলটলে পানিতে চলবে আমাদের আবগাহন। সন্ধ্যায় ফিরে আসব তাহিরপুরে। রাতের খাবার ও রাতযাপন হবে এখানে।
২১ সেপ্টেম্বর, শনিবার
সকালে তাহিরপুরে নাস্তা শেষে ৯টার মধ্যে ট্রলার নিয়ে চলে যাব শিমুল বাগানে। এরপর বারিক্কা টিলা ও মেঘালয় পাহাড় সাইটসিয়িং শেষে চলে আসবো পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বয়ে চলা যাদুকাটা নদীতে। স্বচ্ছ ঠা-া পানিতে গোছল শেষে সন্ধ্যায় ফিরে আসব তাহিরপুর। রাতের খাবার শেষে দুই দিনের স্মৃতি মনে নিয়ে সুনামগঞ্জ হয়ে শুরু করব ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা।
২২ সেপ্টেম্বর, রবিবার
সারা রাত জার্নি শেষে ভোরে ঢাকা থাকবো ইনশা আল্লাহ। আর এর মাধ্যমেই শেষ হবে আমাদের দুই দিন তিন রাতের হাওরের ইভেন্ট।
প্যাকেজে যা যা থাকছে: নন এসি চেয়ার কোচে ঢাকা-সুনামগঞ্জ-ঢাকা যাতায়াত। সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ রিজার্ভ লেগুনা। ট্যুর চলাকালীন সব লোকাল ট্রান্সপোর্ট। তাহিরপুর ঘাট থেকে দুই দিন এক রাতের জন্য রিজার্ভ ট্রলার। লাইফ জ্যাকেট। দুই দিনের ৬ বেলা খাবার (সকাল, দুপুর, রাত)।
যা যা থাকছে না: যেকোনো ধরনের ব্যাক্তিগত খরচ। ঢাকা-সুনামগঞ্জ-ঢাকা আসা-যাওয়ার পথে বাসের যাত্রা বিরতিতে খাবার।
বুকিংয়ের আগে এই বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে
হাওরে অবস্থানকালীন দুই দিন ট্রলারে থাকতে হবে। তাই ঘুমানো, খাওয়া দাওয়া সবই নৌকায় হবে। যারা হোটেলে থাকবেন তাদের খাবারও ট্রলারে হবে।
ট্রলারে কারো জন্য প্রাইভেট বা কাপল বেডের ব্যবস্থা নেই। শক্ত বিছানায় ঘুমাতে হবে। আর হোটেল স্টান্ডার্ড মানের।
ট্রলারের ছোট টয়লেটেই দুই দিনের প্রাকৃতিক কাজ করতে হবে।
হাওরের পানিতে গোছল করতে হবে। গোছলের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা থাকবে না।
সাথে বহন করতে হবে
ক্যামেরা, মোবাইলের চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক। বিছানার চাদরসহ নিজের প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিস। হেডলাইট অথবা টর্চলাইট। রোদ প্রোটেকশনের জন্য ছাতা, সানক্যাপ, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন। প্রয়োজনীয় ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ। ট্রাভেল ফ্যান। বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য রেইন কোট।
কিছু কমন বিষয়
বিকাশে টাকা পাঠালে খরচসহ দিতে হবে। বিকাশ নম্বর: ০১৬১২৩৬০৩৪৮ (পার্সোনাল)।
ট্যুরের সম্পূর্ণ খরচ পরিশোধের পর বাসের টিকেট দেয়া হবে।
আগে বুকিং সামনে সিট ভিত্তিতে বাসে সিট বরাদ্দ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এটি একটি গ্রুপ ট্যুর। ভ্রমণ পিপাসু মন আর সবার সাথে একত্রে থেকে সময়টাকে উপভোগ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
অন্য কেউ কষ্ট পাবে এমন কোনো আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
স্থানীয়দের সাথে কোনো রকম বিরূপ আচরণ করা যাবে না। নতুন কারো সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে হোস্টের সহায়তা নিতে হবে।
অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির তৈরি হলে সবাই মিলে সমাধান করতে হবে।
অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না।
দল ছাড়া হয়ে ঘুরা যাবে না। বিশেষ প্রয়োজনে দলকে জানিয়ে যাওয়া যেতে পারে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজ দায়িত্বে গ্রুপে ফিরে আসতে হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাস বা ট্রলার নষ্ট হয়ে গেলে, স্পটের কোনো অনুমতি না পেলে, এক্সট্রা কোনো খরচ হলে যা ট্যুরে লেখা তা সবাইকে বহন করতে হবে।
Responsibilities
We will be responsible for operation of the tours and excursions as mentioned in our brochure under the normal situation. So, for personal accident, sickness or loss of baggage during the tour, any political problem resulting in unusual situation to conduct a tour etc. we will not be responsible. However, we will try to extend all possible assistance to overcome such problems. But the guest must pay any extra cost incurred due to such problems.
We reserve the right to withdraw or amend any tour should condition warrant such action. In such a condition, any participant unable to avail the changed schedule is entitled to take his/her money refunded.
During visiting days all members must be maintaining by their leaders. We reserve the rights to accept or refuse any participant as a member of the tour.
যেকোনো সময় ট্যুরের যেকোনো বিষয় পরিবর্তনের ক্ষমতা ঢাকা ট্যুরিস্ট সংরক্ষণ করে। যেকোনো পরিস্থিতিতে ঢাকা ট্যুরিস্টের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।