Skip to content

দেয়ালঘেরা ঠান্ডা ছড়া

নীরব চৌধুরী
দুপাশে কালো পাথরের দেয়াল। মাঝ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঝরনা। এলাকার নাম ঠান্ডা ছড়া। নামকরণের সার্থকতা বলে বা লিখে বোঝানোর দরকার নেই। এখানে আসুন একবার, নিজেই টের পাবেন। পাথরের দেয়ালের জন্যই বোধ হয় ঝরনার যতই ভেতরে যাবেন, ঠান্ডা অনুভব করবেন।

Thandachara

দুই পাহাড়ের মাঝখানে ছড়া—এটা ধরেই যেতে হয় ঠান্ডা ছড়ায়। ছবি: লেখক

খাগড়াছড়িতে এই ঠান্ডা ছড়া। ছড়ার ভেতরের পথ প্রায় ৬০০ গজ। কালো পাথরের ঢিপি ধরেই হেঁটে যেতে হবে ছড়ার ভেতর দিয়ে। খুব আরামদায়ক ভ্রমণ তা বলছি না, রোমাঞ্চ যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরাই বরং আসুন।

তবে এখানে আসার পথটা দারুণ। পথে খাগড়াছড়ির সব সৌন্দর্যই দেখতে পাবেন।

Thandachara2

এমন বুনোফুল চোখে পড়বে

ছোট ছোট সবুজ পাহাড়, পাহাড়ের গা বেয়ে নামা ঝরনা, ছড়ার পাশে ফুটে থাকা বুনোফুল, নাম না জানা পাখি—এ সবই মুগ্ধ করবে। একবারেই জানিয়ে দিলাম কী কী চোখে পড়বে। আশপাশের গ্রাম থেকে পানি নিতেও গ্রামবাসীরা আসেন এই ছড়ায়।
পর্যটন এলাকা হিসেবে এখনো খুব পরিচিতি পায়নি এটি। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা শান্তি কুমার চাকমা জানালেন, বছর পাঁচেক ধরে এলাকার মানুষেরাই বেড়াতে আসা শুরু করেছে।

যদি সময় নিয়ে আসেন, তাহলে আরও দেখতে পাবেন ঠান্ডা ছড়ার পাশে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। সেখানেও কিছু সময় বেড়াতে পারেন। ভালোই লাগবে।

কীভাবে যাবেন

Thandachara3

দুই পাহাড়ের মাঝখানে ছড়া

ঢাকার কলাবাগান, ফকিরাপুল, গাবতলী, কমলাপুর থেকে বিভিন্ন বাস ছাড়ে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে। খাগড়াছড়ি পৌঁছে নেমে যাবেন শহরের শাপলা চত্বরে। এখান থেকে সিএনজি কিংবা ব্যাটারিচালিত টমটমে করে দীঘিনালা উপজেলা সড়ক দিয়ে চলে যান ধর্মঘর এলাকায়। প্রায় তিন কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পেরোতে হবে। এখান থেকেই হেঁটে ঠান্ডা ছড়ায় পৌঁছে যাবেন। ধর্মঘরে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই ছড়ার পথ দেখিয়ে দেবে।

এ ছাড়া চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকা থেকেও খাগড়াছড়ি চলে আসতে পারেন। খাগড়াছড়ি শহরে রয়েছে থাকা-খাওয়ার মোটামুটি ভালো ব্যবস্থা আছে। সূত্র : প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *