মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে কে না ভালোবাসে। আর সেজন্য সৌন্দর্যের সন্ধাণে ভ্রমণপিপাসু ও প্রকৃতি প্রেমিকরা পাড়ি দেয় দূরদুরান্তের পথ। বাংলাদেশে তুষারপাত দেখার সৌভাগ্য আমাদের না হলেও আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলোতে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে তুষারপাতের মনোরম দৃশ্য। ভারতের কাশ্মির এবং পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকা শীতকালে পর্যটকদের জন্য অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। বরফে ঢাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে অনেক পর্যটক শীতের এই হিম লাগা সময়ে এখানে এসে ভিড় করেন। আবহাওয়া বেশ সহনীয় থাকার কারণে ভ্রমনপিপাসুরা তুষারে ঢাকা উপত্যকা দেখতে এখানে আসে। সাধারণত এসময়টাতে সোয়াত উপত্যকা বরফ এবং শীতকালীন বিভিন্ন খেলার জন্য সবার কাছে অন্যতম পছন্দের স্থান। প্রবল তুষারপাতের সময় সেখানকার মালান জাব্বা, মিয়ানদাম এবং কালাম রিসোর্টগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
মালাম জাব্বা এই রিসোর্টটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নয় হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। নভেম্বর মাস থেকে এখানে তুষারপাতের শুরু হয় এবং বরফের চাদরে ঢেকে যায় পুরো উপত্যকা। এটি একমাত্র উপত্যকা যেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশের জন্য ৮০০ সেন্টিমিটারের একটি ঢাল তৈরি করা হয়েছে। আর এখানে শুরু থেকেই উপত্যকায় ওঠার জন্য একজন দক্ষ প্রশিক্ষক সঙ্গে দেয়া হয়।
মিয়ানদাম ভ্যালি এই রিসোর্টটি অবস্থিত সোয়াত মিনগোরা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে হিন্দুকুশ পর্বতের পাদদেশে। আর এটাও পর্যটদের জন্য স্বর্গস্বরূপ আর একটি রিসোর্ট। এই রিসোর্টে গ্রীষ্ম এবং শীত এই দুই ঋতুতেই প্রকৃতি প্রেমীরা উপত্যকা দেখার জন্য ভিড় করেন। আর এই উপত্যকাগুলো চারপাশে ঘন বন দ্বারা বেষ্টিত এবং খুব কম বরফের ঘনত্ব থাকে যা শীতকালে এক অসাধারণ দৃশ্যপটের সৃষ্টি করে।
কালাম ভ্যালি নামে এই রিসোর্টটি পর্যটকদের অন্যতম আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। কারণ এখানে আছে বরফে ঢাকা উপত্যকা, অসাধারণ লেক, ঝড়না এবং ঘন বন এবং বরফে ঘেরা সবুজ চরণভূমি যা পর্যটকদের খুব সহজেই নজর কাড়ে। এই রিসোর্টটি মিনগোরা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কালাম ভ্যালিকে পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণীয় ভ্যালি হিসেবে দাবি করা হয়।
এছাড়াও এখানে স্থানীয় এবং বিদেশী পর্যটকদের জন্য আছে ৫০০ টির মতো ছোট, বড় অনেক হোটেল। সোয়াত ছাড়াও এখানে নানারকম আকর্ষণীয় স্থান আছে যেখানে শীতকালে তুষারপাত হয়। এদের মধ্যে মারঘুজার ভ্যালি, বাহরাইন ও সাঙ্গার মতো উল্লেখযোগ্য স্থান। সৌজন্যে : বাংলামেইল