দৃষ্টিনন্দন ফুল হিসেবে সূর্যমুখী সবার কাছে পরিচিত। ফুলটি তেলবীজ হিসেবেও দারুণ সমাদৃত। সূর্যমুখীর বীজ ও তেলে রয়েছে নানা উপকারী গুণ। জানালেন পিন্টু রঞ্জন অর্ক
তেল
♦ সূর্যমুখী তেলে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। অলিভ অয়েলের তুলনায় হালকা হওয়ায় এই তেল সহজে ত্বকে মিশে যায়।
এতে থাকা ভিটামিন ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া রান্নায় সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবেও এই তেল খুবই স্বাস্থ্যকর।
♦ সূর্যমুখীর তেল ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এই তেল ব্যবহারে সানবার্ন হয় না এবং শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে।
♦ এই তেলে বিদ্যমান ভিটামিন-ই সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা পড়তে দেয় না।
♦ ক্যান্সার ও অ্যাজমা রোগের প্রতিষেধক। সূর্যমুখীর তেলে থাকা সেলেনিয়াম নামক উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।
♦ সূর্যমুখীর তেল দেহের ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কপারের চাহিদা পূরণ করে। হাড় সুস্থ ও মজবুত রাখে।
♦ মানসিক চাপ দূর করতে সূর্যমুখীর তেলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম কাজে দেয়। এ ছাড়া মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।
♦ হাড়ের জোড়ায় ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক-আলসার, ত্বকের প্রদাহ ও হাঁপানি ইত্যাদি রোগ সারিয়ে তুলতে সূর্যমুখীর তেল খুবই কার্যকর।
♦ দেহের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে এই তেল।
♦ সূর্যমুখীর তেলে তেলচিটচিটে ভাবটা থাকে না। আর এই তেল ব্যবহারে ত্বক হয় কোমল ও মসৃণ। সব ধরনের ত্বকে এই তেল ব্যবহার উপযোগী। গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা তেল ব্যবহারে সারা দিনের ক্লান্তি ভাব দূর হয়। সূর্যমুখীর তেল ম্যাসাজ করতে ব্যবহার করতে পারেন।
বীজ
♦ সূর্যমুখীর বীজ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
♦ সূর্যমুখীর বীজে ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই এই বীজ ভেজে খেতে পারেন।
♦ প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় সূর্যমুখী বীজের তেল শরীরের দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। দেহের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতেও সূর্যমুখীর ভূমিকা অনন্য।
♦ সূর্যমুখীর বীজে থাকা ভিটামিন-ই দেহের নানা রকম ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। চুলের পুষ্টি জোগায়।
♦ সূর্যমুখী ফুলের বীজ খুব পুষ্টিকর। এর থেকে যে তেল তৈরি হয়, তাতে আছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। বেকিংয়ের জন্য এই তেল ভালো। এটি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়। সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ