কান্না পাচ্ছে? কাঁদো, মন ভরে কাঁদো
কালো মেঘের চেয়ে বৃষ্টি ভালো।
জৈষ্ঠ্যের খাঁ খাঁ মাঠের বৃষ্টির বড় দরকার
কাঁদো, সময় এখন ডুকরে ওঠা কান্নার।
…তবু মৌসুম শেষে জৈষ্ঠ্যের শূন্য মাঠ দেখে
যদি ভর করে পুরাকালের কোন অচিন আবেগ,
যদি পুরো আকাশ কালো হয় মেঘে মেঘে
জানি, ভীষণ কান্না পাবে তোমার, তুমি কাঁদবে।
কবির এমন আবেগ দেখে মনে হচ্ছে অভিমানী প্রেয়সীর কান্নায় ভরে উঠতো খাতায় ফলানো তার ফসলের মাঠ। কিন্তু সেই কান্না কয়জনই বা সহ্য করতে পারে বলুন। কান্না যদি একবার মেয়েদের ঘারে ভর করে তাহলে তো হয়েছেই। সেটা থামানো খুবই কষ্টের। কবির না হয় কলম রয়েছে, তাই কান্নার সেই আবেগে ডুব দিতে পারবেন। অন্যদের বেলায় হবেটা কি?
এক গবেষণায় দেখা গেছে, আধুনিক নারীদের জীবনে ইমোশনাল প্রবলেম দিন দিন বাড়ছে। আর সেটা থেকে মুক্তির সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে কান্না। কিন্তু সবার সামনে কতোক্ষণই বা ‘মনের সুখে’ কাঁদা যায়! তাই জাপানের রাজধানী টোকিয়োর মিৎসুই গার্ডেন হোটেল নারীদের জন্য তৈরি করেছে কান্নাঘর বা ‘ক্রাইং রুম’। যতোক্ষণ খুশি ততোক্ষণ সেখানে শুয়ে কিংবা বসে আপনি কাঁদতে পারবেন। প্রতিদিন তার জন্য শুধু গুণতে হবে সাড়ে ৬ হাজার টাকা।
ওই কান্নাঘরে আপনার জন্য থাকবে ট্র্যাজিক সিনেমা দেখার ব্যবস্থা, ইমোশন বাড়িয়ে দেয়ার জন্য কিছু বই। আর চোখের জল মুছার জন্য তো পর্যাপ্ত টিস্যু থাকছেই। কাঁদার পর নিজের সাজটা ঠিক রাখার জন্য থাকবে আই মেক আপও।
তাহলে যান টোকিয়োর মিৎসুই গার্ডেন হোটেলে, কেঁদে আসুন মনের সুখে!