Skip to content

নিঝুম দ্বীপের সাতসতের

Nijhum-Dwip5

সোহেল অটল
দ্বীপ বলতে যা বোঝায়, নিঝুম দ্বীপ সেটাই। চারপাশে জলরাশি। সমুদ্রের সমতল জলরাশিতে মাথা উঁচু করে জেগে আছে সবুজ বনানীর নিঝুম দ্বীপ।

অনেকেই মনে করেন, দেশের একমাত্র দ্বীপ বুঝি সেন্টমার্টিন। আসলে তা নয়। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত নিঝুম দ্বীপও সব ধরনের বৈশিষ্ট্যে পূর্ণাঙ্গ এক দ্বীপ। সেন্টমার্টিন উপকূল থেকে বেশ দূরে। দৃষ্টিসীমার বাইরে। নিঝুম দ্বীপ বঙ্গোপসাগরের উপকূলেই অবস্থিত। উপকূল থেকে দৃষ্টিসীমার ভেতরে।

দীপাঞ্চলে ঘোরার উপযুক্ত সময় শীতকাল। এ সময় সমুদ্র শান্ত থাকে। আবহাওয়াও ঘোরাঘুরির জন্য মানানসই। কয়েক বছর ধরে যাবো যাবো করেও নিঝুম দ্বীপে যাওয়া হচ্ছিল না। এবার গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমরা কয়েকজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম নিঝুম দ্বীপে যাওয়ার। ঘুরতে যাওয়া অনেক সময়ই পরিকল্পনা করে, প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া হয়ে ওঠে না। ব্যস্ত নাগরিক জীবনের হুটহাট ফুরসত কাজে লাগাতে ‘যেই কথা সেই কাজ’ টাইপের ঘুরতে বেরোনোর মজাই আলাদা। আমরাও প্রস্তুতিহীন হুট করেই রওনা দিলাম নিঝুম দ্বীপের উদ্দেশে।

প্রায় ৯২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নিঝুম দ্বীপ ঘুরতে যাওয়ার অন্যতম কারণ শুধু দ্বীপ বলে না। প্রকৃতির এক বিস্ময়কর সৌন্দর্য নিয়ে নিঝুম দ্বীপ বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে আছে, সেটা আগেই শুনেছি। এই দ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার অনেক কারণের বিশেষ একটা হলোÑ পুরো দ্বীপই হরিণের অভয়ারণ্য। দেশের মধ্যে মায়াবী হরিণের একমাত্র চারণক্ষেত্র নিঝুম দ্বীপ। প্রায় ৪০ হাজার হরিণ রয়েছে নিঝুম দ্বীপে।

ঢাকার সাথে হাতিয়ার স্থলপথে যোগাযোগব্যবস্থা খুবই খারাপ। দু’বার বাস বদলাতে হবে। দু’বার সিএনজি কিংবা মোটরসাইকেল বদলাতে হবে। তিন-চার ঘণ্টা ধরে মেঘনা পাড়ি দিতে হবে ট্রলারে। তারপর হাতিয়ার দেখা মিলবে। সে এক বিশাল ঝক্কির ব্যাপার। অনভ্যস্ত মানুষ স্থলপথে ঢাকা থেকে হাতিয়া যেতেই অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

তুলনায় নদীপথ সহজতর। আরামদায়ক। কম খরচের।

সদরঘাট থেকে প্রতিদিন বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লঞ্চ ছাড়ে হাতিয়ার উদ্দেশে। প্রায় ১৪ ঘণ্টার জার্নি শেষে লঞ্চ পৌঁছে হাতিয়ার তমরুদ্দিন ঘাটে। সেখান থেকে ট্রলারে চেপে সমুদ্রের মধ্যে নিঝুম দ্বীপে যেতে সময় লাগে প্রায় তিন-চার ঘণ্টা। তমরুদ্দিন ঘাট থেকে মোটরসাইকেলে হাতিয়ার অন্য প্রান্ত দিয়েও নিঝুম দ্বীপে প্রবেশ করা যায়। সে ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল থেকে নেমে মেঘনার মোহনায় ২০ মিনিটের খেয়া পার হতে হবে।

Nijhum-Dwip7

আমরা ধরেছিলাম প্রথম রুট। তমরুদ্দিন ঘাট থেকে ট্রলারে চেপে প্রায় চার ঘণ্টা পর পৌঁছলাম নিঝুম দ্বীপে। দ্বীপে পৌঁছার আগে মেঘনার মোহনায় অসংখ্য ছোট ছোট চর। চর ঘেঁষে এঁকেবেঁকে ট্রলার যাওয়ার পথে চোখে পড়বে মনোরম দৃশ্য। চরগুলোর কোনো কোনোটা বিরান। কোনোটা কেওড়া গাছের সুনিবিড় ছায়াবেষ্টিত। এসব চরের সবই জনমানবশূন্য। নানা প্রজাতির পাখির ওড়াউড়ি আর মহিষের বাথান দেখে দীর্ঘ পথযাত্রার কান্তি দূর হয়ে যায়।

দুপুর ১২টা নাগাদ আমাদের দৃষ্টিসীমার ভেতরে চলে এলো নিঝুম দ্বীপ। দূর থেকে সবুজ বনানীর দ্বীপ দেখে রোমাঞ্চিত আমরা সবাই। মেঘনার মোহনায় এই দৃষ্টিনন্দন দ্বীপে প্রবেশের জন্য রয়েছে কয়েকটা খাল। সেই খাল ধরে আমাদের ট্রলার গিয়ে থামল দ্বীপের সবচেয়ে পুরনো ঘাটÑ নামার ঘাটে।

ঘাটে নামার সময় খেয়াল করলে দেখা যাবে, আরো বেশ কিছু ট্রলার সেখানে ভিড় করে আছে। সব সময়ই সেটা থাকে। সেগুলো মূলত মাছধরার ট্রলার। নিঝুম দ্বীপের প্রায় নিরানব্বই ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একমাত্র পেশা মাছধরা। সারা বছর মানুষ সমুদ্র থেকে মাছ ধরে। সেই মাছই ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বণ্টন হয়।

যে দ্বীপের প্রায় সবাই মৎস্যজীবী, সে দ্বীপে মাছ খেয়ে মজা পাওয়ার কথা। আমরাও পেলাম, সেখানে পৌঁছেই খেতে বসে। নানা পদের সামুদ্রিক মাছের সাথে চিরচেনা ইলিশ-চিংড়িও পাওয়া গেল। সে কী স্বাদ! তাজা মাছের সে স্বাদ পেতে হলে নিঝুম দ্বীপে গিয়ে অবশ্যই নানা পদের মাছ খেতে হবে। অনেকেই গোশত খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এরকম একটা দ্বীপাঞ্চলে ঘুরতে গিয়ে মাছ না খেয়ে গোশত খোঁজা বোকামি। মাছের দামও কম। ঢাকার যেকোনো ভালো মানের রেস্টুরেন্ট থেকে ওখানে মাছের দাম কমপক্ষে চার ভাগ কম।

নামার ঘাটের পাশেই আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল অবকাশের রিসোর্টে। থাকার ব্যবস্থা খারাপ নয়। এখানে পরিবারসুদ্ধও আরামসে থাকা যায়। অবকাশ ছাড়াও নিঝুম দ্বীপে থাকার আরো ব্যবস্থা আছে।

দ্বীপে নামার পরপরই দেখি পর্যটকেরা হরিণ দেখার জন্য রওনা দিয়েছেন। পুরো দ্বীপই হরিণের অভয়ারণ্য। তবুও হরিণ দেখার জন্য জঙ্গলের কাছাকাছি যেতে হবে। কারণ এ দ্বীপে হরিণ ছাড়াও মানুষের বসবাস রয়েছে। নিঝুম দ্বীপে এখন প্রায় ৫৫ হাজার মানুষের বসবাস। সুতরাং হরিণকে গা বাঁচিয়ে জঙ্গলের মধ্যেই অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে হয়েছে।

Nijhum-Dwip4

অন্যান্য পর্যটকের সাথে বিকেলবেলা আমরাও বেরিয়ে পড়লাম হরিণ দেখতে। ট্রলারের স্থানীয় মাঝি আমাদের নিয়ে গেলেন চৌধুরী খালের পাড়ে। হরিণ দেখার জন্য ওটাই নাকি উপযুক্ত জায়গা। ভেবেছিলাম ওখানে গিয়ে পালে পালে হরিণের ছোটাছুটি দেখতে পাবো। কিছুক্ষণ বাদেই সে আশায় বালি পড়ল। পুরো বিকেল হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ালাম গহিন অরণ্যে। হরিণের পায়ের চিহ্ন ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলাম না। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে যা দেখলাম তা অত্যন্ত ভয়াবহ। এই নিঝুম দ্বীপের বনানী দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। কেওড়াসহ প্রায় ২১ প্রজাতির দামি দামি সব কাঠের লাখ লাখ গাছ রয়েছে দ্বীপজুড়ে। দ্বীপের বৃহত্তর অংশই মূলত এসব গাছের অরণ্য। হরিণ খোঁজার বিকেলে গাছ কাটার শব্দ পেয়ে আমরা এগিয়ে গেলাম। দেখলাম নির্বিকার ভঙ্গিতে গাছ কাটছে একদল দস্যু। টুকরো করে ঘাড়ে তুলে সেসব তুলছে অরণ্যের পাশেই নদীতে রাখা ট্রলারে। স্থানীয় মাঝি জানালেন এভাবেই এখান থেকে প্রতিদিন শত শত গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে অরণ্য।

গাছ কাটার খবর জানিয়ে খবর পাঠালাম বন বিভাগের (নিঝুম দ্বীপ) বিট অফিসার বদরুল আলমকে। খবর পাওয়ার প্রায় ৫ ঘণ্টা পর তিনি ঘটনাস্থলে এলেন। ততক্ষণে আমরা তাঁবু টাঙিয়েছি বনের পাশেই মেঘনার তীরে। ক্যাম্প ফায়ারও চলছে। রাত ৯টা নাগাদ বিট অফিসার এসে বললেন, চলুন তো দেখে আসি কোথায় গাছ কাটা হচ্ছে!

অতি হাস্যকর ব্যাপার। বিকেল ৪টার সময় গাছ কাটার খবর পেয়ে এলেন রাত ৯টায়। এসে বললেনÑ চলুন দেখে আসি কোথায় গাছ কাটা হচ্ছে। অনুসন্ধান করে জানতে পারলামÑ এসব দস্যুর সাথে বন বিভাগের অসাধু কর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার গাছ কেটে পাচার করা হয় এসব বনরক্ষা কর্তাদের প্রত্যক্ষ মদদেই।

যা হোক, সেসব অন্য ব্যাপার। প্রথম দিন আমরা হরিণ দেখতে পেলাম না। কিছুটা হতাশই হলাম। হরিণের অভয়ারণ্য এটা। ৯২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৪০ হাজার হরিণ। প্রায় অর্ধেক এলাকায় মানুষের বাস। বাকি থাকল ৪৬ বর্গকিলোমিটার। তা হলে প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় এক হাজার হরিণ থাকার কথা। কেন তবে হরিণ দেখা যাবে না?

রাতের নিঝুম দ্বীপে আগুন জ্বালিয়ে তাঁবুর মধ্যে বসে আমরা সেসবই ভাবছিলাম। এ প্রসঙ্গে একটা তথ্য জানিয়ে রাখা ভালো। সেটা এই দ্বীপের দ্বীপ হয়ে ওঠার গল্প।

Nijhum-Dwip3

১৯৪০-এর দশকে এই বঙ্গোপসাগরের উপকূলে মেঘনার মোহনায় বিশাল এক চর জেগে ওঠে। । ভূমি গঠনের নানা ধাপ অতিক্রম করে ১৯৫০-এর দশকে এখানে তৃণ গজায়। হাতিয়ার জেলেরাই প্রথম এই চর আবিষ্কার করেন। কেউ জনবসতি স্থাপনের চিন্তা প্রথমে করেনি। ওসমান নামে এক সাহসী মহিষের রাখাল প্রায় ১০০ মহিষ নিয়ে হাতিয়া থেকে প্রমত্তা মেঘনা পাড়ি দিয়ে এই চরে এসে পৌঁছেন। সেই থেকে এই চরের নাম হয়Ñ চর ওসমান। পরে জনবসতি বাড়ার সাথে সাথে চর ওসমানের নামও বদলে যায়। হাতিয়ার স্থানীয় লোকজন এই চরের নামকরণ করেন নিঝুম দ্বীপ।

১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে নিঝুম দ্বীপে পরীক্ষামূলকভাবে চারজোড়া হরিণ ছাড়েন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই চারজোড়া হরিণ থেকেই বর্তমানে ৪০ হাজার হরিণ।

হিসাব যেমনই হোক, সত্য এই যে, নিঝুম দ্বীপে গেলেই ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণ দেখা যাবে, ব্যাপারটা তেমন নয়। বেশির ভাগ পর্যটকই হরিণ না দেখে হতাশ হয়েই নিঝুম দ্বীপ ত্যাগ করেন। হরিণ কেন সহজে দেখা যায় না, তা নিয়ে রয়েছে নানা মত। কেউ বলেন, নির্বিচারে হরিণ জবাই করে খাওয়া হয়। তাই হরিণের সংখ্যা কমে গেছে। কেউ বলেন, হরিণ ধরে পাচার করা হচ্ছে, তাই হরিণ দেখা যায় না।

এ সব কিছুই প্রমাণিত নয়। হরিণের গোশত যেহেতু সুস্বাদু, হরিণের গোশত খেতেই পারে। কিংবা পাচারও হতে পারে। দিন-দুপুরে সশব্দে অরণ্যের গাছ কেটে যদি ঘাড়ে করে দ্বীপ থেকে পালানো যায়, হরিণ মারা কিংবা পাচার করাও অসম্ভব নয়।

Nijhum-Dwip2

তবে একটা যুক্তি মনে ধরল আমাদের। যুক্তিটা দিলেন নিঝুম দ্বীপের চেয়ারম্যান মেহরাজউদ্দিন। তিনি জানালেন, নিঝুম দ্বীপের চার পাশে বেশ কিছু খণ্ড খণ্ড চর জেগেছে। সেখানে গাছপালায় ভর্তি জঙ্গল তৈরি হয়েছে। ভাটার সময় পানি কমে সেসব চর নিঝুম দ্বীপের সাথে নিরবচ্ছিন্ন স্থলভাগে পরিণত হয়। হরিণেরা ওই সব দ্বীপে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে।

ঘটনা যা-ই ঘটুক, নিঝুম দ্বীপে গিয়ে হরিণ দেখার জন্য হরিণের পেছনে ছুটে বেড়ানোর কোনো দরকার নেই। হরিণ খুবই ভীরু প্রাণী। হরিণ দেখতে হলে হরিণের চারণক্ষেত্রগুলোতে ভোরে কিংবা বিকেলে চুপচাপ বসে থাকতে হবে। যেটা আমরা করেছিলাম দ্বিতীয় দিন। সহস্র হরিণ দেখতে না পেলেও একঝাঁক মায়াবী হরিণ দেখেছিলাম নিঝুম দ্বীপ ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে।

নিঝুম দ্বীপে গিয়ে হরিণ না দেখতে পেলে যে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে ব্যাপারটা তেমনও নয়। পুরো দ্বীপই সৌন্দর্যের আধার। হরিণ ছাড়াও দেখার আরো অনেক কিছু রয়েছে সেখানে। দ্বীপের পূর্বদিকটায় রয়েছে চমৎকার স্যান্ডি বিচ। সেখানে সমুদ্রস্নান কিংবা ঘুরে বেড়ানোর মধ্যেও আনন্দদায়ক অনেক ব্যাপার রয়েছে। উত্তর পাশে মেঘনার কোল ঘেঁষে নৌকা নিয়ে ঘোরার আনন্দ কোথাও পাওয়া যাবে না। কিংবা দ্বীপের মধ্য দিয়ে যে রাস্তাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, সেই আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে অরণ্যের মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়ালেও বিমল আনন্দ উপভোগ করা যায়। কেউ অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় হলে মাঝিদের সাথে চলে যেতে পারেন সমুদ্রে মাছ ধরতে।

nijhum-dip

বন্ধুদের সাথে টিম করে ঘুরতে গেলে এক রকম প্রস্তুতি থাকা দরকার। বউ-বাচ্চা অর্থাৎ ফ্যামিলি নিয়ে গেলে আরেক রকম প্রস্তুতি। থাকার ব্যবস্থা তো রয়েছেই। এর বাইরে বন্ধুরা মিলে রোমাঞ্চ উপভোগ করতে চাইলে অরণ্যের কাছাকাছি তাঁবু করে থাকা যায় সারা রাত। বনে কোনো হিংস্র প্রাণী নেই। ভয়েরও কিছু নেই। তবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে তাঁবু গেড়ে থাকলে ভালো হয়।

অনেকেই ঘুরতে যেতে চান না খরচের ভয়ে। অথচ বন্ধুরা মিলে টিম করে ঘুরতে গেলে খরচ একেবারেই কম। আর ইচ্ছেমতো ঘোরাঘুরির সুযোগ জীবনে সব সময় থাকেও না। সুতরাং যারা ভাবছেন নিঝুম দ্বীপ ঘুরতে যাবেন, সাতপাঁচ না ভেবে এখনি বেরিয়ে পড়–ন। দেখে আসুন দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিশাল ভাণ্ডার। জুড়িয়ে আসুন চোখ, প্রাণ। সৌজন্যে : নয়া দিগন্ত

Sundarban-Website

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *