Skip to content

নিশাতের পিসাং জয়

একের পর এক জয় আনছে নিশাত মজুমদার। আজকে এই পাহাড় তো কালকে সেই পর্বত। নিজের অর্জনের ঝুলি আজ পুরো প্রায়। এই তো সম্প্রতি নেপালের অন্যতম পর্বত পিসাং জয় করে দেশে ফিরেছেন তিনি। জানাচ্ছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক

নিশাত মজুমদার দেশের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী। এভারেস্ট জয়ের পর তার আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তার ধারাবাহিকতায় বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গগুলোতে আত্মবিশ্বাসের সাথেই জয় করছে। সম্প্রতি তিনি নেপালের পিসাং পর্বতও জয় করে এসেছেন সাথে ছিল আরেক বাংলাদেশি পর্বত আরোহী সাদিয়া চৌধুরী। গত দুই নভেম্বর তার ফেসবুকে এমন একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে একটি ছবি আপলোড করে তিনি লিখেছিলেন ‘পিসাং পর্বত শিখরে আমরা দু’জন। সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

Nishatনিশাত মজুমদার গত অক্টোবরের শেষের দিকে পিসাং জয় করার জন্য নেপালে পারি জমান। পরে ২ নভেম্বর নেপালের অন্নপূর্ণা হিমালে ৬ হাজার ফিটের তিসাং পর্বতশৃঙ্গ জয় করেন। এমন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিশাত মজুমদার নিজেই। অন্নপূর্ণা রেঞ্জে অবস্থিত ৬ হাজার ৯১ মিটার বা ১৯ হাজার ৯৭৮ ফিট উচ্চতার শৃঙ্গ তিসাং। তার সাথে আরেক বাংলাদেশি পর্বত আরোহী সাদিয়া চৌধুরী প্রথমবারের মতো গেছেন কোন শৃঙ্গ অভিযানে। শৃঙ্গ জয়ের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর প্রি-মুনসুন সিজন হলেও তারা একটু শেষের দিকেই যান। কারণ তাদের কোন স্পন্সর নেই। সম্পূর্ণ নিজের খরচেই তারা এই অভিযান করেছেন।

বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার ২০০৩ সালে এভারেস্ট বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া (৩,১৭২ ফুট) কেওক্রাডং জয় করেন। ২০০৬ সালের মার্চে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বিএমটিসি আয়োজিত বাংলাদেশের নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে ফের কেওক্রাডং চূড়ায় ওঠেন তিনি। একই বছরের সেপ্টেম্বরে বিএমটিসি আয়োজিত নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে তিনি এভারেস্ট বেস ক্যাম্প (১৭ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা) ট্র্যাকিংয়ে অংশ নেন। এরপর ২০০৭ সালের মে মাসে বিএমটিসির অর্থায়ানে দার্জিলিংয়ের হিমালয় মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে হিমালয়ের মেরা পর্বতশৃঙ্গ (২১ হাজার ৮৩০ ফুট) জয় করেন। এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে পরের বছরের মে মাসে হিমালয়ের সিঙ্গচুলি পর্বতশৃঙ্গে (২১ হাজার ৩২৮ ফুট) ওঠেন। একই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি ভারতের উত্তর কাশীর গঙ্গোত্রী হিমালয়ের গঙ্গোত্রী-১ পর্বতশৃঙ্গে (২১ হাজার ফুট) বাংলাদেশ-ভারত যৌথ অভিযানে অংশ নেন। নিশাত ২০০৯ সালের এপ্রিলে পৃথিবীর ৫ম উচ্চতম শৃঙ্গ মাকালুতে (২৭ হাজার ৮৬৫ ফুট) ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অভিযানে অংশ নেন। ২০১১ সালের অক্টোবরে বিএমটিসি আয়োজিত হিমালয়ের চেকিগো নামের একটি শৃঙ্গেও সফল অভিযানে যান। পরে ২০১২ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয়ের গৌরব অর্জন করেন তিনি। নিশাত মজুমদার বলেন,সম্পূর্ণ নিজের খরচে পিসাং জয় করেন তারা। তবে এতেই তাদের আনন্দ। ভবিষ্যতে এমন জয় অব্যহত থাকবে। সৌজন্যে : ইত্তেফাক

Web-Design-&-Developmen

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *