
‘১০ ফুট ফাটল দেখা দিয়েছে যা কাঠমাণ্ডুর নিচ দিয়ে ৭৫ মাইল চলে গেছে। ভূমিকম্পটি পুরো শহরকে দক্ষিণ দিকে ১০ ফুট সরিয়ে দিয়েছে।’
নেপালে গত শনিবার সকাল ১১টা ৫৬ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এরপর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। এরপর একের পর এক আফটারশকের আঘাতে বিপর্যস্ত নেপাল আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেখানে রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার ওপরে ১১০টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস।
গত শনিবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে লাশের নগরীতে পরিণত হয় নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু, পোখারা ও আশপাশের অঞ্চলসমূহ।
এ পর্যন্ত ভূমিকম্পে ৬ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ রাজধানী ছাড়ছেন। আরেকটি ভূমিকম্পের ভয়ে মানুষ খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করছেন। ভূতুড়ে এ শহরকে চেনার উপায় নেই।
জাতিসংঘের একটি সংস্থা বলছে, ৫ লাখেরও বেশি বাড়িঘর সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বা বিধ্বস্ত হয়েছে। মানুষ বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, ছোট একটি ভূমিকম্পও তাদের ফাটল ধরা বাড়িগুলো ধসিয়ে দিতে পারে যে কোন মুহূর্তে।
জনজীবন এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। কারণ, বাজারঘাট, স্কুল সব বন্ধ রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে। টেলিফোন যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা অচল রয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্ধারকর্মীরা নানা প্রতিকূলতার মুখে হতাহতদের উদ্ধারে তাদের প্রাণান্ত প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন। সূত্র : মানবজমিন