Skip to content

নয়নাভিরাম রামসাগর

মো. রিয়াজুল ইসলাম
সাগর নয়, তবুও নাম রামসাগর। মধ্যযুগের বিখ্যাত সামন্ত রাজার অমর কীর্তি রামসাগর যা সারা বাংলার এক অনুপম সৌন্দর্যমণ্ডিত ঐতিহাসিক দীঘি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ও অপরূপ নয়নাভিরাম দীঘিটি ভ্রমণকারীদের মনকে ছুঁয়ে যায়।

Ramsagar

দিনাজপুর শহর থেকে ৮ কি.মি. দক্ষিণে মহারাজাদের কীর্তিময় রামসাগর। চারদিকে সুউচ্চ মাটির টিবি, মাঝ খানে দৃষ্টিনন্দন দীঘির নীল জলরাশি। পাড়ভূমিসহ এ দীঘির মোট জমির পরিমাণ ১৪৬ একর। দীঘির দৈর্ঘ্য ৩ ৩ হাজার ৩৯৯ ফুট এবং প্রস্থ ৯৯৮ ফুট। গভীরতা গড়ে প্রায় ৯ মিটার, সর্বোচ্চ পাড়ের উচ্চতা প্রায় ১ হাজার ৩৫০ মিটার। রামসাগরের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৮০ গজ ও প্রস্থ ৩২০ গজ।

এ ছাড়াও বাংলোর পার্শ্বে একটি ছোট্ট চিড়িয়াখানা রয়েছে। এখানে বিভিন্ন রঙের হরিণ, বানর, পাখিসহ কিছু পশুপাখি রয়েছে। এর পাশে রয়েছে শিশুদের জন্য পার্ক। যেখানে শিশুরা অনায়াসে খেলাধুলা করতে পারবে এবং বিভিন্ন জীবজন্তুর মূর্তি রয়েছে যা তাদের আকর্ষণ করে। রয়েছে রামসাগরের একাধিক ছোট ছোট টিনের চালা। এসব জায়গায় পিকনিক করতে এসে অনেকে অবস্থান নেয়।
শীত মৌসুমে এই রামসাগরে পিকনিক করতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসে। ২০০১ সালে রামসাগরকে জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা দেওয়া হয়। জাতীয় উদ্যান ঘোষণা হলেও ১৯৯৮ সালের পর আর কোনো অবকাঠামোগত পরিবর্তন আসেনি। নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, নেই তেমন শৌচাগার, ক্যাফেটরিয়া, সরকারি রেস্ট হাউস ছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য নেই কোনো আবাসিক সুবিধা। সবচেয়ে বড় সমস্যা নিরাপত্তার অভাব।

তারপরও কর্তৃপক্ষের দাবি পর্যটক ও বিনোদন পিপাসুদের জন্য রয়েছে সবরকম সুবিধা। জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা দেওয়ার পর সেখানে পর্যটন মোটেল স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। অজ্ঞাত কারণে ওই পরিকল্পনা আজও সূর্যের মুখ দেখেনি।

পরিকল্পনার অভাবে, এলাকার পরিবেশ রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্রমেই আকর্ষণ হারাচ্ছে এক সময়ের মধ্যযুগের বিখ্যাত সামন্ত রাজার অমর কীর্তি রামসাগর। অথচ সঠিক পরিকল্পনা, নিরাপত্তাসহ পরিবেশ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে পারলে রামসাগর হতে পারে পর্যটকদের মিলনমেলার কেন্দ্রবিন্দু। সৌজন্যে : বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *