মাত্র সাড়ে আট মাসেই ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে ভ্রমণকারীদের আস্থা অর্জন করেছে দেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা। ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর যাওয়া ও কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা ফেরার জন্য ভ্রমণকারীদের জন্য পছন্দের সময়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ারলাইন্সটি।
অনটাইম ফ্লাইট ও স্বাস্থ্যসম্মত গরম খাবারসহ ইনফ্লাইট দারুণ সার্ভিসের কারণে যাত্রীদের কাছে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে ইউএস-বাংলা। কুয়ালালামপুর রুটে ট্রাভেলারদের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে সংস্থাটি।
ক্রমাগত যাত্রী চাহিদা মাথায় রেখে গত ২৯ অক্টোবর থেকে কুয়ালালামপুরে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সপ্তাহে চলছে ১০টি ফ্লাইট। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ফ্লাইট। পৌঁছায় স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে। এই সময়ে ফ্লাইট হওয়ায় ভ্রমণকারীদের পৌঁছে হোটেল পেতে কোনো সমস্যা হয় না। কারণ হোটেলগুলোতে চেকইন টাইম থাকে সাধারণত দুপুর ১২টার পর।
ইনফ্লাইট স্বাস্থ্যসম্মত খাবাররাতের ফ্লাইটগুলো পৌঁছে দেয় স্থানীয় সময় ভোর নাগাদ। যেটা ট্রাভেলারদের জন্য অসুবিধার। তাদের হোটেলে চেকইনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দুপুর ১২টা কিংবা ২টা পর্যন্ত।
কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা ফেরার ফ্লাইটটিও ট্রাভেলারদের জন্য একেবারে উপযুক্ত সময়ে। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে এসে ঢাকার সময় অবতরণ করে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে। আন্তর্জাতিক যে কোনো ফ্লাইটে সাধারণত রিপোর্টিং টাইম থাকে ৩ ঘণ্টা আগে। সে হিসাবে হোটেলের চেকআউট টাইমের কোনো ঝামেলা থাকে না। ভ্রমণকারীরা ১২টার পরপরই হোটেল ছেড়ে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওয়ানা দিতে পারেন।
প্রতিদিন সকাল ছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে সপ্তাহের মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার রাত ৮টায়ও রয়েছে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট। যেটা স্থানীয় সময় রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে কুয়ালালামপুর পৌঁছে দেয়।
প্রতিদিন সকালে কুয়ালালামপুর ফ্লাটের চাহিদা দিন দিন আরও বাড়ছে বলে জানান ইউএস-বাংলার জেনারেল ম্যানেজার মো. কামরুল ইসলাম।
২০১৬ থেকে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরুর পর ইউএস-বাংলা বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দোহা রুটে সপ্তাহে চার দিন, মাস্কাট রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর সপ্তাহে ১০টি, সিঙ্গাপুর প্রতিদিন, ব্যাংকক তিনটি, কাঠমান্ডু তিনটি ও কলকাতা রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট চলাচল করছে। চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় দু’টি ফ্লাইটের পরিবর্তে শনিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য ছয় দিন ফ্লাইট পরিচালিত হয়।
যশোর ও রাজশাহী ছাড়াও অভ্যন্তরীণ রুটে প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ছয়টি, কক্সবাজার তিনটি, সৈয়দপুর তিনটি, সিলেট একটি এবং বরিশাল রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে দেশের অন্যতম এ এয়ারলাইন্সটি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে মোট সাতটি এয়ারক্রাফট রয়েছে। যার মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট। সৌজন্যে : বাংলানিউজ