Skip to content

পর্দা নামলো পর্যটন মেলার

পর্দা নামলো বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার। মেলাকেন্দ্রিক প্রায় ৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকার ব্যবসার সম্ভাবনা দেখছেন আয়োজকরা। বাংলাদেশের অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় আরও বেশি পর্যটকের আশা করছেন আগামী পর্যটন বছরে (২০১৬)।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) থেকে শনিবার (২৩ মে) পর্যন্ত তিনদিন চললো এ মেলা। কিছু সমস্যা ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে এটিকে ‘সফল’ বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

মেলার অন্যতম আয়োজক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্টের (বিএফটিডি) প্রেসিডেন্ট এইচ এম হাকিম আলী বলেন, এ মেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের আগামী সময়ে ৮ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকা) ব্যবসা হবে। ভারত ও কম্বোডিয়া থেকে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি পর্যটক আসবেন বাংলাদেশে।

Tourism-Fair

মেলার নির্বাহী পরিচালক রেজাউল একরাম রাজু বলেন, যারা এয়ার টিকিট বিক্রি করছিলেন, তাদের সবগুলো টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকেই প্যাকেজগুলো নিয়েছেন। ঈদকেন্দ্রিক প্যাকেজগুলো আগতরা বেশি পছন্দ করেছেন।

মেলায় অংশ নেওয়া সব প্রতিষ্ঠানকে সনদ দেওয়া হয় শনিবার।

অংশগ্রহণকারীদের অসন্তোষ মেলার আয়োজকরা সন্তুষ্ট হলেও একই সুর নেই অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠানের। অনেকেই ব্যবস্থাপনার ত্রুটি ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন।

তারা বলছেন, এতো টাকা খরচ করে স্টল নিয়ে প্রথমদিন ফ্লপ হল। সময় ও ভেন্যু নির্বাচনে আরও যত্নবান হতে পারতেন আয়োজকরা।

তাদের অভিযোগ, প্রচারণার অভাবে আশানুরূপ দর্শনার্থী পাননি তারা। মেলা কর্তৃপক্ষ আরও আগে থেকে এ বিষয়ে প্রচার চালাতে পারতেন। এছাড়া প্রচণ্ড গরম, খাওয়া-দাওয়ার ভালো ব্যবস্থা না থাকায় তারা কষ্ট পেয়েছেন বলে জানান তারা।

এসব পরিস্থিতিতে অন্যতম আয়োজক রেজাউল একরাম রাজু বলেন, আমরা প্রথমদিনে একটু অসুবিধায় পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সবার কষ্ট দূর করতে ফ্যান দিয়েছি, দর্শনার্থীদের উৎসাহিত করতে প্রবেশ ফ্রি করেছি।

হাকিম আলী বলেন, এ মেলা সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। সবার অংশগ্রহণে আমরা সফল হয়েছি। আগামী পর্যটন বছরে প্রচুর পর্যটক পাবো আমরা। কিছু সমস্যা হয়তো হয়েছে। কিন্তু আমাদের আন্তরিকতা ও চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না।

তিনি বলেন, ট্যুরিজম মেলা পর্যটন খাতের বিশাল একটি সুযোগ। মেলার প্রথমদিনে কিছু সমস্যা হলেও দ্বিতীয় দিনে লোক সমাগম ছিল প্রায় ১০ হাজার। যারা স্টল নিচ্ছেন ও যারা দর্শনার্থী সবার কথা ভেবে আমরা এবার এন্ট্রি-ফি নেইনি। সবাই বিনা খরচে ঢুকতে পেরেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাকিম আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী রতন ভৌমিক, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খুরশেদ আলম চৌধুরী, ভূটানের প্রতিনিধি সুনম দর্জি, নেপাল অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস চেয়ারম্যান ডি লিম্বু প্রমুখ।

মেলার সমাপনী উপলক্ষে সেভাবে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *