পর্যটন শিল্পনগরী হচ্ছে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা। সম্ভামনাময় এ জেলার সর্ব দক্ষিণের উপজেলা চরফ্যাশনের চর কুকরি-মুকরিতে গড়ে তোলা হবে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেষে অবস্থিত কুকরি-মুকরিতে ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে সুইমিন পুল ও হেলিপ্যাডসহ আন্তর্জাতিক মানের রেস্টহাউস। নির্মাণ করা হয়েছে বার্ড টাওয়ার ও ওয়াস টাওয়ার। সেখানে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে আরো একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ ছাড়া একই উপজেলার ঢালচরে গড়ে উঠবে আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত, যেখানে একইসঙ্গে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখা যাবে। ভোলায় রয়েছে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক শাহবাজপুর গ্যাস। এ গ্যাস কাজে লাগিয়ে ভোলাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি করা সম্ভব।
আজ শুক্রবার ভোলা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
জেলা ব্র্যান্ডিংবিষয়ক দিনব্যাপী এ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই প্রোগাম ই সার্ভিসের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. আব্দুল মান্নান। জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রকল্পের সহকারী সচিব শিরিন সবনম, মো. মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুব্রত কুমার সিকদার প্রমুখ। কর্মশালায় বিভিন্ন উপজেলার ইউএনও, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ভোলা হচ্ছে একটি অপার সম্ভবাবনাময় জেলা। জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়নে গড়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।
এ ব্যাপারে কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মঞ্জু বলেন, “চর কুকরি-মুরিতে ইতিমধ্যে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠেছে সুইমিং পুল ও হেলিপ্যাডসহ আন্তর্জাতিক মানের রেস্ট হাউস। নির্মাণ করা হয়েছে বার্ড টাওয়ার ও ওয়াচ টাওয়ার। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে আরো একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিয়া আজ শুক্রবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, “পর্যটকদের আরো আকর্ষণীয় করার জন্য কুকরি-মুরিতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়। খুব শিগগির প্রকল্পটি অনুমোদন হলে সেখানে ওয়াচ টাওয়ার, জেটি, হরিণ ও পাখিদের অভয়াশ্রম এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটকরা কুকরি-মুরিতে এসে মুগ্ধ হবেন। এ ছাড়া এ এলাকা সব সময় বিভিন্ন প্রকারের পাখির কলতানে মুখরিত থাকে, যা পর্যটকদের সহজেই আকৃষ্ট করতে পারে। ”
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু বলেন, “চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরের বঙ্গোপসাগরের তীরে গড়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত, যেখানে একইসঙ্গে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখা যাবে। ” জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, “ভোলায় রয়েছে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস। এ গ্যাস কাজে লাগিয়ে ভোলাকে পর্যটনশিল্প হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। ” প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এ টু আই প্রোগ্রাম ই সার্ভিসের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. আব্দুল মান্নান বলেন, “ভোলা একটি অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পনগরী জেলা। এ জেলাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি করা সম্ভব। সূত্র: কালের কণ্ঠ