শান্তির দেশ ভুটানের অন্যতম একটি দর্শনীয় ও পবিত্র স্থান দোচুলা পাস৷ পাহাড়ের চূড়ায় এ জায়গাটি একেবারেই ছবির মতো সাজানো৷
দোচুলা পাস
ভুটানের রাজধানী থিম্পু থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে পুনাখার পথে দোচুলা পাসের অবস্থান৷ দেশটির বর্তমান রাজধানী শহর থিম্পু থেকে অতীতের রাজধানী (১৬৩৭-১৯০৭) শহর পুনাখা যেতে মধ্যস্থানে দোচুলা পাসের উচ্চতা প্রায় ১০,৫০০ ফুট৷
থিম্পু-পুনাখা মহাসড়ক
দোচুলা পাস যেতে হয় থিম্পু-পুনাখা মহাসড়ক ধরে৷ সুন্দর এ সড়কে চলতে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে যেন বিস্ময়ে ভরা৷
ঘন জঙ্গল
থিম্পু শহর থেকে দোচুলা পাস যেতে পুরো সড়কটাই পাহাড়ি ঘন জঙ্গল ভেদ করে চলে গেছে৷ ভুটানের প্রথম রয়্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেন দোচুলা পাসের পাশেই অবস্থিত৷
মেমোরিয়াল চোর্তেন
দোচুলা পাসের মূল আকর্ষণ সেখানকার ড্রুক ওয়ানগয়াল মেমোরিয়াল চোর্তেন৷ ২০০৩ সালে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত ভুটানের সৈন্যদের স্মরণে দোচুলা পাসে নির্মিত হয় এই চোর্তেন৷
স্মৃতিস্তম্ভ
দোচুলা পাসের ড্রুক ওয়ানগয়াল মেমোরিয়াল চোর্তেনে রয়েছে এরকম ১০৮টি স্তুপা বা স্মৃতিস্তম্ভ৷
ড্রুক ওয়াংগাল লাহখাং
দোচুল পাসের আরেকটি আকর্ষণ হলো ড্রুক ওয়াংগাল লাখাং৷ এ বৌদ্ধ মন্দিরটি চিমি লাহখাং নামেও পরিচিত৷ জংখা ভাষায় বড় মন্দিরকে বলে জং আর ছোট মন্দিরকে বলে লাহখাং৷ দোচুলা পাসের চোর্তেনগুলোর পাশেই চিমি লাহখাং ভ্যালিতে এ মন্দির অবস্থিত৷
মন্দিরের পাশে খোলা চত্ত্বর
ড্রুক ওয়াংগাল লাহখাং মন্দিরের পাশের খোলা চত্ত্বরটি পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়৷ এখান থেকে আশেপাশের দৃশ্য সত্যিই অপূর্ব৷
জনপ্রিয় পর্যটন স্থান
ভুটানের রাজধানী থিম্পু থেকে খুব কাছে হওয়ায় সময় কাটানোর জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানকার প্রচুর বাসিন্দা জায়গাটিতে আসেন৷ পুনাখার পথে হওয়ায় বিদেশি পর্যটকরা জায়গাটিতে কিছুটা সময় কাটাতে ভুল করেন না৷
হিমালয়ের চূড়া দেখা
রৌদ্রজ্জ্বল দিনে দোচুলা পাস থেকে হিমলয়ের চূড়া দেখা যায়৷
তুষারে ঢাকা পড়ে
সারা বছর এরকম দেখা গেলেও সাধারণত নভেম্বর থেকে ফ্রেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায়ই তুষারে ঢেকে যায় দোচুলা পাস৷ সৌজনৌ : ডয়েচেভেলে