Skip to content

সাজেক ট্যুরের নির্দেশিকা

sajek-tour-puja-ashura

মেঘের চাদরে মোড়ানো পাহাড়। সবুজ বৃক্ষরাজি ঢেকে আছে ধবধবে সাদা কুয়াশায়। বিশাল বিশাল গাছপালা। অজগর সাপের মতো আঁকাবাঁকা আর উঁচু-নিচু রাস্তা। সুউচ্চ পর্বত। ভোরসকালে সূর্যোদয়ের দৃশ্য কোনটা নেই সাজেকে?
খাগড়াছড়ি শহর থেকে দীঘিনালা, তারপর বাঘাইহাট হয়ে সাজেক। পুরো রাস্তাটাই অপূর্ব। আশপাশের দৃশ্য বড় মনোরম। বেশির ভাগ সময় রাস্তাটাকে রোলার কোস্টারই মনে হয়।
সবুজে মোড়ানো প্রকৃতির মাঝে আঁকাবাঁকা সর্পিল পথ বেয়ে দুঃসাহসিক এই ভ্রমণ যেখানে ফুরাবে, সেটাই সাজেকের মূল কেন্দ্র। নাম রুইলুইপাড়া। ছবির মতো পথঘাঁট। পথের দুপাশে লাল-সবুজ রঙের বাড়ি। কাছে-দূরের সব পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে মেঘ জমে আছে।
সেখান থেকে আরেকটু দূরে কংলাকপাড়া। টেনেটুনে ২০টি ঘর। হেঁটে যেতে আধঘণ্টা। এখানে থেকে সাজেক ভ্যালির বড় অংশটা দেখা যায়।
সাজেকের আনন্দ বারান্দা বা খোলা জায়গায় বসে বা শুয়ে মেঘের আনাগোনা দেখা। হঠাৎ হঠাৎ এক টুকরো মেঘ অথবা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে যায়। বদলে যায় দৃশ্যপট। মাঝে মাঝে সব এমনই ফকফকা যে সীমান্তের ওপারে পাহাড়ের ঘরবাড়ি, ঝরনা, মন্দির পর্যন্ত দেখা যায়। কিছুক্ষণ বাদেই হয়তো মেঘ এসে ঢেকে দেয় চারদিক।

টিম লিডার: মোস্তাফিজুর রহমান, মোবাইল: ০১৬১২৩৬০৩৪৮
সহযোগী টিম লিডার: কামরুল ইসলাম, মোবাইল: ০১৭৫২১৫৯৩৫২

ভ্রমণ পরিকল্পনা
ভ্রমণকাল : ২ দিন ৩ রাত। (সাজেকে অবস্থান এক রাত)
ভ্রমণ শুরু : ১০ অক্টোবর ২০১৬, রাত ১০.০০ মিনিট, স্থান- কল্যাণপুর ফুটওভার ব্রিজের নিচ থেকে, রাত ১০.৩০ মিনিট এবং ফকিরাপুল টিএন্ডটি কলোনির পশ্চিম পাশে শান্তি ও ইকোনো পরিবহনের কাউন্টার থেকে।
ভ্রমণ সমাপ্তি : ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টা, স্থান- ফকিরাপুল/ কল্যাণপুর।

প্রথম দিন : মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০১৬
খুব সেকালে খাগড়াছড়ি পৌঁছা। খাগড়াছড়ি শহরে গ্রুপ রুমে ফ্রেস হওয়া। এজন্য হোটেলে দুটি রুম বুকিং নেয়া আছে। একটিতে পুরুষ অন্যদিতে মহিলা ট্রাভেলাররা রিফ্রেশ হবেন।
০৭:০০ সকালের নাস্তা। (মেনু: পরাটা, ভাজি, ডিম।)
০৮:০০ রিজার্ভড চান্দের গাড়িতে আলুটিলা গুহা ভ্রমণ। গুহার এন্ট্রি টিকেট ও মশাল ডিটিসি সরবরাহ করবে। গুহায় সবাই লাইন ধরে প্রবেশ করবেন। সব মশাল একসাথে জ্বালানো যাবে না। ব্যক্তিগতভাবে কেউ টর্চলাইট নিতে পারেন।
১০:০০ রিসাং ঝর্ণা ভ্রমণ। সতর্কতা: রিছাং ঝরনায় যেতে প্রায় ১০ মিনিট হেটে নিচে নামতে হবে। উঠতে সময় লাগতে পারে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। ঝরনাটি বেশ পিচ্ছিল। গোছল করতে নামলে সতর্ক থাকতে হবে যেন পিছলে না পরেন।
০১:০০ দুপুরের খাবার গ্রহণ। (মেনু: সাদা ভাত, সবজি/বেগুন ভাজি, রুই মাছ, পাতলা ডাল।)
০২:০০ রিজার্ভড চান্দের গাড়িতে সাজেকের উদ্দেশে রওয়ানা। পথে দুটি স্থানে যাত্রা বিরতি হবে। এখানে গাড়ি থেকে নামার জন্য টিম লিডারের অনুমতি নিবেন। তবে গাড়ি থেকে বেশি দূরে যাওয়া যাবে না।
০৪:৩০ রিসোর্টে রুম বণ্টন। রুম বরাদ্দের আগে কেউ ফেমিলি রুমে প্রবেশ করবেন না।
বিকেলে সাজেক, রুইলুই পাড়া, হেলিপ্যাড, সাজেক রিসোর্ট ও তার আশপাশ বেড়ানো।
০৭:০০ বার-বি-কিউ উৎসব। স্থান: সাজেক ভ্যালি।
সাজেকে রাত যাপন।

দ্বিতীয় দিন : বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০১৬
০৬:৩০ হোটেল থেকে ফ্রেস/গোসল শেষ করে কংলাক পাড়ায় বেড়ানো। এখান থেকে সাজেকের অধিকাংশ পাহাড় দেখা যায়। মেঘ থাকলে এটিই হবে ট্যুরের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা। এখানের পাহাড়ে উঠতে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগতে পারে। খুব সতর্কতার সাথে পাহাড়ে উঠতে ও নামতে হবে। একটি করে লাঠি রাখতে পারলে পাহাড়ে উঠা অনেক সহজ হবে। প্রাপ্তি সাপেক্ষে লাঠি ডিটিসি সরবরাহ করবে। এখানে হালকা নাস্তা দেয়া।
০৮:৩০ সকালের নাস্তা। (মেনু: ডিম খিচুরি, চা। স্থান: সাজেক ভ্যালি)
০৯:৩০ চান্দের গাড়িতে লাগেজ রেখে সাজেক রিসোর্ট ও তার আশপাশ বেড়ানো। খাগড়াছড়ির উদ্দেশে যাত্রা।
১১:০০ দেবতার পুকুর, শতবর্ষী বটগাছ ভ্রমণ। দেবতার পুকুরে গোছল করা ও সাতার কাটা যাবে।
০২:০০ দুপুরে উপজাতিদের ঐতিহ্যবাহী খাবার গ্রহণ। স্থান: সিস্টেম রেস্তোঁরা, খাগড়াছড়ি শহর।
০৩:৩০ হার্টিকালচার পার্ক ও ঝুলন্ত ব্রিজ।
০৭:০০ হোটেলে গ্রুপভিত্তিক রুমে ফ্রেস হওয়া।
০৮:০০ রাতের খাবার। (সাদা ভাত, সবজি, মাছ, ডাল। স্থান: খাগড়াছড়ি শহর)
০৯:০০ নির্ধারিত বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা। যারা রাঙ্গামাটি যাবেন তাঁরা রাতে খাগড়াছড়ি শহরে হোটেলে রাতযাপন করবেন এবং পরদিন ভোরে স্থানীয় গাড়িতে রাঙ্গামাটির উদ্দেশে রওয়ানা দিবেন।
০ দিন : বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৬: খুব ভোরে ঢাকার ফকিরাপুল/কল্যাণপুর পৌঁছা ও ট্যুরের সমাপ্তি।

সাথে যা যা নিতে পারেন
ক্যামেরা, মোবাইলের চার্জার ও পাওয়ার ব্যংক। রবি ও টেলিটক সিম (অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক নাই)। বিছানার চাদরসহ নিজের ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিস। হেডলাইট অথবা টর্চলাইট। রোদ প্রোটেকশনের জন্য ছাতা, সানক্যাপ, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন। প্রয়োজনীয় ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ। ট্রাভেল ফ্যান।

নেয়া যাবে না: ব্যক্তিগত জিনিস বহনের জন্য কোনোভাবেও ট্রলি নেয়া যাবে না।

নির্দেশিকা
 গাড়ি ছাড়ার অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে কল্যাণপুর/ ফকিরাপুল উপস্থিত থাকতে হবে।
 কল্যাণপুরের অভ্যর্থনা- আব্দুল জলিল, মোবাইল ০১৯৪৬১৯৪৭৪৬, ফকিরাপুলের অভ্যর্থনা- কামরুল ইসলাম, মোবাইল ০১৭৫২১৫৯৩৫২।
 গাড়িতে উঠার পূর্বে নির্ধারিত চাঁদা পরিশোধ করে সিট বুঝে নিতে হবে।
 খাগড়াছড়ি যাওয়া ও ঢাকায় ফেরার পথে গাড়িতে পূর্ব নির্ধারিত সিটে বসতে হবে।
 খাগড়াছড়ি শহরে প্রথম দিন সকালে পুরুষ ও মহিলাদের রিফ্রেশের জন্য পৃথক দুটি রুম বুকিং রয়েছে।
 একইভাবে দ্বিতীয় দিন বিকেলে খাগড়াছড়ি শহরে রিফ্রেশের জন্য দুটি রুম বুকিং রয়েছে।
 সাজেকের রিসোর্টটি টিনশেড ও বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি। এখানে রুম বরাদ্দ না হওয়া পর্যন্ত কেউ ফেমিলি রুমে প্রবেশ করবেন না। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক বাথরুম। তবে কোনো রুমে এটাচড বাথরুম নেই।
 একটি হাফ লিটার বোতলসহ প্রত্যেকের জন্য প্রায় চার লিটার মিনারেল ওয়াটার বরাদ্দ থাকবে।
 অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজন হলে টিম লিডার অথবা সহযোগী টিম লিডারকে বলতে হবে। হোটেলবয়কে খাবারের অর্ডার দেয়া যাবে না।
 ভ্রমণে কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য প্রত্যেককে প্রত্যেকের সহযোগিতা করতে হবে।
 অবশ্যই গ্রুপ লিডারের নির্দেশ ও শিডিউল মানতে হবে। কোনোভাবেও গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।
 নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কিংবা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু কোনোভাবেই করা যাবে না (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
 অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না।
 এটি একটি পারিবারিক ট্যুর। সবাইকে পারিবারিক সম্মান বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।
 সাজেকে পানি ও বিদ্যুতের স্বল্পতা রয়েছে। গোছলে সমস্যা হতে পারে।

ব্যবস্থাপনায় যা থাকছে না
চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত খরচ। মেনুর বাইরে অতিরিক্ত কোনো খাবার। কোমল পানীয়। হোটেল বা রিসোর্টে অতিরিক্ত কোনো রুম নিলে তার ভাড়া। অনাকাঙ্খিত কোনো খরচ। যা উল্লেখ নাই এমন সব খরচ।

যেকোনো সময়ে ট্যুরের যেকোনো বিষয় পরিবর্তন হতে পারে। যেকোনো বিষয়ে টিম লিডারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

নভেম্বরের আকর্ষণ: ১১-১২ নভেম্বর বান্দরবান ট্যুর। ১৭-২১ নভেম্বর শিলং চেরাপুঞ্জি ট্যুর। ২৫-২৭ নভেম্বর সুন্দরবন ট্যুর। প্রতি মাসে পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার মোহনায় নৌ-বিহার, জনপ্রতি খরচ ১,০০০/= টাকা। প্রতিমাসে শিলং-চেরাপুঞ্জি গ্রুপ ট্যুর, জনপ্রতি খরচ ১৪,৯৫০/= টাকা। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার ভ্রমণ। জানুয়ারিতে গ্রুপ ওমরাহ।

যোগাযোগের ঠিকানা: ১৮০-১৮১, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণী (অষ্টম তলা), বিজয় নগর, ঢাকা- ১০০০
মোবাইল: ০১৬১২ ৩৬০৩৪৮।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *