
ভাসমান উদ্যানে সাংঘাই হরিণ
নাসির শুভ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি ভারত। ভারত এমন একটি দেশ যেখানে সমুদ্র, মরুভূমি, পাহাড়, তুষারস্নাত স্থান, বন-জঙ্গলসহ সবকিছু দেখা যায় একসাথে।
তার উপর দেশটির মণিপুর রাজ্যটিকে বিধাতা যেন গড়েছেন শৈল্পিক ধাঁচে। রাজ্যটা পাহাড়ে ঘেরা। ঝর্না-পাহাড় দেখার লোভে পর্যটকরা ছুটে যান মণিপুর। পাহাড় ছাড়াও সেখানে রয়েছে আরেকটি বিস্ময়। বিষ্ণুপুর জেলার শান্ত ভূমিতে রয়েছে পৃথিবীর একমাত্র ভাসমান উদ্যান। ‘কেইবুল লামজাও জাতীয় উদ্যান’ নামে পরিচিত এটি। লকটাক লেকের ভেতরেই রয়েছে এ উদ্যান।
প্রায় ৪০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে এ ভাসমান উদ্যান। কেইবুল জাতীয় উদ্যান হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৯৭৭। উদ্যানটি তৈরি করা হয়েছিল বিলুপ্ত প্রজাতির কিছু পশু-পাখি এবং বিপন্ন প্রজাতির গাছ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। উদ্যানটিতে রয়েছে সাংঘাই হরিণ, ২৩৩ প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ, ১০০ প্রজাতির পাখি এবং প্রায় ৪২৫ ধরনের পশু।
ভারতে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত সাংঘাই হরিণ বা নাচুনে হরিণকে বিলুপ্ত ধরা হত। পরবর্তীতে এদের বংশ বৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য কিছু হরিণ কেইবুল লামজাও-এর বিস্তীর্ণ ভূমিতে ছেড়ে দেয়া হয়।
বর্তমানে এই জাতীয় উদ্যানটি সাংঘাই হরিণের একমাত্র প্রাকৃতিক আবাসস্থল। সৌজন্যে : রাইজিংবিডি