:: নাবীল অনুসূর্য ::
নেপালের ছোট্ট শহর ঘাসার অবস্থান হিমালয়ের একেবারেই কাছাকাছি। অন্নপূর্ণায় যাওয়ার পথেই পড়ে।
এই ঘাসার কাছ দিয়েই বয়ে গেছে নেপালের অন্যতম প্রধান নদী গান্দাকি বা কালিগান্দাকি। উঁচু দুই পাহাড়ের মাঝখানে গভীর এক গিরিখাদের জন্ম দিয়ে বয়ে চলেছে গান্দাকি। নদীটি পার হওয়ার জন্য বানানো হয়েছে একটি ঝুলন্ত সেতু। একে তো অনেক ওপরে অবস্থান, তার ওপর আবার ঝুলন্ত—সব কিছু মিলিয়ে সেতুটি পেরোনো তাই ভারি রোমাঞ্চকর।
তবে এই সেতুটির সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো, এটি পর্যটকদের জন্য নয়, বানানো হয়েছে মূলত গবাদিপশুর জন্য। এখানকার অধিকাংশ লোকেরই মূল পেশা পশুপালন। এই পোষা জন্তু-জানোয়ার নিয়ে তারা যখন আগে সরু পাহাড়ি পথে আসা-যাওয়া করত, রাস্তায় দীর্ঘ যানজট লেগে যেত। তাতে পর্যটকদের অনেক সময় নষ্ট হতো। আর তাই গবাদিপশুদের শর্টকাটে শহরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দিতে সেতুটি বানানো।
এখন প্রতিদিনই শয়ে শয়ে মানুষ এই সেতু দিয়ে তাদের পোষা প্রাণী নিয়ে পার হয়। হাজার হাজার মিটার উঁচুতে ঝুলতে থাকা সেতুটি দিয়ে হেলেদুলে পার হয় সেই সব প্রাণী। মাঝেমধ্যে ভয় পেয়ে দাপাদাপিও করে, কিন্তু দুই পাশে উঁচু বেড়া থাকায় সমস্যা হয় না। তবু ওই সেতুটি পর্যটকদের জন্য বেশ ভয়ংকরই বটে। কারণ পাহাড়ি ঝোড়ো বাতাসে সেতুটি প্রায়ই মৃদু দুলতে থাকে। তাতে স্থানীয় লোকজনের সমস্যা না হলেও, রোমাঞ্চের নেশায় সেতু পেরোতে আসা অনভ্যস্ত পর্যটকদের রীতিমতো কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। স্যৗজন্যে : কালের কন্ঠ