শরীরের সব অঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। তবে হার্টের গুরুত্বটা একটু বেশিই। কেননা হার্টের সুস্থতার ওপর শরীরের সুস্থতা নির্ভর করে। এ কারণে হার্টকে সুস্থ রাখার বিকল্প নেই। এ জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।
চিনি ও লবণকে না বলুন : সুস্থ দেহেই থাকে সুস্থ হার্ট। খাবার-দাবারের ওপর নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য। শুধু বাহ্যিক স্বাস্থ্য নয়, অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য খাবার-দাবারের ওপরই নির্ভর করে। অতিরিক্ত লবণ বা চিনি খেলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং করোনারি হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে লবণ বা চিনি মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। বরং সুস্থ হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সবুজ শাক-সবজি, সতেজ ফল এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ধূমপান ও মদপান ত্যাগ : ধূমপান ও মদপান হার্টের জন্য ক্ষতিকর। এ দুই জিনিস হার্টের পেশিকে দুর্বল করে দেয়। এ কারণে হার্ট তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে বাধাগ্রস্ত হয়। এ জন্যই বেশির ভাগ হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে ধূমপানকে দায়ী করা হয়। এ কারণে সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কতামূলক তথ্য দেওয়া থাকে। অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীরা স্ট্রোকের শিকার হয়। শুধু ধূমপান নয়, সুস্থ হার্টের অধিকারী হতে মদপান থেকে দূরে থাকা উচিত।
চাপমুক্ত জীবন : টেনশন হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। মানসিক চাপ হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী। এ কারণে সব সময় চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য হাসিখুশি থাকাটা দারুণ উপকারী। চাপমুক্ত থাকার জন্য বই পড়ার অভ্যাস দারুণ কার্যকর। তা ছাড়া শখের কাজে ডুবে থেকেও চাপমুক্ত থাকা যায়।
নিয়মিত ব্যায়াম : সুস্থ দেহে সুস্থ হার্ট। আর সুস্থ দেহের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করাটা জরুরি। হাঁটা, জগিং, যোগ ব্যায়াম-যেকোনো ধরনের ব্যায়াম করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম একদিকে যেমন হার্টকে শক্তিশালী করে, তেমনি রক্ত সঞ্চালনও স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
ওজন কমানো : স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় বেশি ওজনের মানুষই বেশির ভাগ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়। বেশি ওজনের মানুষ সাধারণত কোলেস্টেরল বিষয়ক রোগে ভোগে। সূত্র : কালের কণ্ঠ