Skip to content

ফুল নয়, যেন তারার মেলা!

ইলিয়াস আরাফাত
সচরাচর দেখাই যায় না এ ফুল। কালেভদ্রে কারো চোখে হয়তো পড়তে পারে। কিন্তু রাজশাহী কলেজের অধ্যাপক শামিম আরার চোখে কখনও পড়েনি এমন দৃশ্য। বিশেষ করে রাতের আঁধারে বাগানে হঠাৎ শত শত ফুল ফোটা দেখে তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী কলেজের বোটানিক্যাল গার্ডেনের রয়েল পাম গাছে হঠাৎ দেখা যায় শত শত হাড়জোড়া ফুল। ফুল ফোটার সে দৃশ্যটা ছিল বড় মনোমুগ্ধকর, দৃষ্টিকাড়া। অন্ধকারে দূর থেকে দেখলে ফুলগুলোকে আকাশে তারার মেলার মতোই মনে হয়।

Flowerরাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের পেছনে ও গার্ডেনের রাস্তা দিয়ে রাত ৮টার দিকে হাঁটাহাঁটি করছিলেন রাজশাহী কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামিম আরা। এসময় হঠাৎ করে পাম গাছের দিকে তাকাতেই সাদা সাদা ফুল চোখে পড়ে তার। গাছটির গায়ে হঠাৎ এ সাদা সাদা ফুল ফুটে থাকতে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন। পরে বুঝতে পারেন পরাশ্রীত গাছে হাড়জোড়া গাছের ফুল। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. আল মুকুল চৌধুরী।

অধ্যাপক শামিম আরা বাংলামেইলকে বলেন, ‘এর আগে কখনো এই গাছে ফুল ফুটতে দেখিনি। এর আগে ১৯৯০ সালের দিকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে কর্মরত ছিলাম। সে সময়েও ওই গাছ দেখেছি। কিন্তু কখনো ফুল ফুটতে দেখিনি।’

রাজশাহী কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান জানান, ফুলগাছটির লোকজ নাম হাড়জোড়া। আর বৈজ্ঞানিক নাম সিসাস- কুয়াড্রানগুলারিস। মাংসল লতা আকৃতির এই গাছটি সাধারণত প্রাচীরের সৌন্দর্য্য বর্ধণ করে। কখনো কখনো পাতাহীন দেখা যায়। পাতা হৃদপিণ্ডের আকৃতির মতো। এর ফুল গন্ধবিহীন। তবে এ গাছের ওষুধি গুন আছে। গাছের কাণ্ডের রস পুষ্টি অভাবজনিত রোগে উপকারী, খুদাবর্ধক, বেদনানাশকে উপকারী। সূত্র : বাংলামেইল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *