পৃথ্বীরাজ ঢ্যাং
এই জানুয়ারিতে তাওয়াং জুড়ে বরফের ময়দান। হ্র্রদগুলোর ওপর বরফ জমে এত পুরু হয়ে রয়েছে যে চাইলে তার ওপর দিয়ে হাঁটা যায় অনায়াসে। ২০১৩ সারের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বমডিলা থেকে চলেছি তাওয়াং। সেলা পাসের তোরনটা দেখে গাড়ি থামিয়ে নামতে গিয়ে বাইরের ঠাণ্ডাটা মালুম হলো। দুপুর ১২টার সময়ও বেশ ঠা-া ঝড়ো হাওয়া। চারদিকে পরিচিত মেঘ কুয়াশার আবরণ নেই, বেশ উজ্জ্বল ঝকঝকে আবাহাওয়া।
তোরনের ওপাশে যেতেই সামনেই ছোট্ট জমাট বাধাঁ হ্রদটা নজর কাড়ল। একটু এগিয়ে ডানদিকে পরপর ক’টি কাঠের ঘর। ভিতর চিপস আরও একটা দরজা রয়েছে অন্দরমহলে যাওয়ার। ভিতরে গিযে দেখি চা কফি নুডলস-এর ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে আর ঘরের মাঝে জ্বলস্ত বুখারি থাকায় তাপমাত্রও বেশ আরামদায়ক। ঠা-া কাটাতে পরপরদু গ্লাস গরম চা খেয়ে ফেললাম। ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা খুবই অনুককূল। কাঠের জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে বরফের ময়দানের মতো জমে যাওয়া সেলা হ্রদ। চা পানের বিরতির পর রামার পালা। হ্রদের পাশ দিয়ে পথ। পথের যেদিকে তীব্র রোদ আসে না ‘সেখানে এখনও পুরু হয়ে জমে আছে দির – সাতেক আগের তুষার। কোথাও কোথাও ভয়ষ্কর সাদা। কোথাও বা ময়লা হয়ে গেছে গাড়ির চাকা থেকে ছিটকে ওঠা কাদায়। আর ও খানিকটা এগোতোই পথের পাশের রালটিকে দেখলাম জায়গায় জায়গায় একেবারে জমে গেছে। কোথাও বা জমাট বরফের নীচ দিয়ে ক্ষীণধারায় বয়ে চলেছে সেটি। কয়েক ঘণ্টা আগেও পাহাড়ের ঢালগুলোতে সবুজের সঙ্গে কমলা লাল হলুদ পাতার যে সহাবস্থ্না দেখা যাচ্ছিল এখন তা রুক্ষ বরফের সম্রাজ্যে পরিণত হয়েছে। তারই মধ্যে দু-তিনটি সম্ভবত পরিত্যক্ত সেনা ছাউনি দাড়িয়ে আছে একা।
আরও কিছুটা গাড়ি চলবার পর মাইলস্টোনে দেখলাম যশোন্তগড় আসছে। ভারত-চিন যুদ্ধের অন্যতম বীর নায়কের অসম যুদ্ধে বীরত্বের কথা আগে পড়েছি। কিছুক্ষণের মধ্যে চাক্ষুষ দেখতে পাব বলে রোমাঞ্চীত হলাম। এখানে তুষারের আধিক্য। তারই মধ্যে একটা তোরণ সেনা ছাউনি আর স্মৃতিমন্দির। রয়েছে গাড়োয়াল রাইফেল, ম্যার যশোবন্ত সিং রাওয়াত-এর আবক্ষ মুর্তি পাথরের ফলকে উৎকীর্ণ তার আর তার সঙ্গীদের বীরত্বগাথা। এ পথের অন্যতম বর্ধিষ্ণুঞ জনপদ জং সেখানে চা-নুডলস খেয়ে রওনা হতে হতেই অন্ধকার ঘনিয়ে এল।
অরুনাচাল প্রদেশে খানিক আগেই সন্ধ্যা হয়, তার ওপর শীতকালে এমনিতেই বেলা ছোট। রঙিল আলোতে মোড়া তাওয়াং ওয়ার মেমোরিয়ালের সামনে গিয়ে চাড়ই ভেঙে একটু এগিয়ে আমাদের গাড়ি থামল। পুর্ব নির্ধারিত হোটেলের সামনে নিচের তলায় স্নুকারের বোর্ডে খেলছে কিছু স্থানীয় ছেলে। পাশেই সিঁড়ি। ওপর তলায় হোটেলের রিসেপশন। গেলাম সেখানে। পুরো হোটেলই ফাঁকা। শীতকালে পর্যটক নেই।
কিছুক্ষণ হাকডাক উকিঁঝুকি পর যখন হাল ছেড়ে দেবার অবস্থা, তখন বছর পনেরো-ষোলোর একটি মেয়ে হাফাতে হাফাতে ঢুকল। সে নাকি বাজার পেরোবার সময়ই আমাদের গাড়িটাকে খেয়াল করে প্রায় দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে এসেছে। ঘরে মালপত্র নামিয়ে রেখে নিচে নামলাম।
সম্পূর্ণ তাওয়াং যেন হরতাল বা আরও সাংঘাতিক কোনও কিছুর প্রভাব জনশূন্য এবং নিশ্চুপ। এই সন্ধ্যায় কোথাও কোনও দোকানপাট খাওয়ার হোটেল খোলা নেই। নেই পথঘাটে কোনও মানুষজনও। কেবল একটি মদের দোকানে টিম টিম করে আলো জ্বলছে। এরই মধ্যে মাঝে মাঝেই লোডশিডিংয়ের প্রভাবে শহরের সব আলো কিছুক্ষণের জন্য নিভে যাচ্ছে। আসে পাশে বাড়ির সাদ থেকে ভেসে আসছে হিন্দি গানের আবছা শব্দ এবং তারই মধ্যে উৎসবমুখর স্থানীয় মানুষের সমবেত উল্লাস।
শীতও বেশ বেড়ে উঠেছে দেখে হোটেলে ফিরে এলাম। ভাত, রুটি ডাল আর ডিমের তরকারি রান্না করে রেখে আমাদের হোটেলের মালকিন কাম ম্যানেজার কাম কুক-অন্ধের যষ্ঠী সেই মেয়েটি বিদায় নিল। ঠা-া হয়ে যাবার ভয়ে তখনই রাতের খাওয়া সেরে ঘরে ঢুকে পড়লাম।
এত তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস নেই। লোশেডিংয়ের জন্য তেমন কিছু পড়তেও পারা যাচ্ছে না দেখে সামনে কাঠের জানালা বাইরের জনমানবহীন অন্ধকার শহর দেখা ছাড়া উপায় রইল না। ঠা-া আরো বাড়াতে থাকায় শুয়ে পড়াই ঠিক করলাম। ঝকঝকে আলোতে ঘুম ভাঙল। এমন প্রায় সাড়ে পাঁচটা। চটপট তৈরি হয়ে নিলাম। আমাদের গাড়িকে তাওয়াং ট্যাক্সি ইউনিয়ন অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে যেতে দেবে না বলে কাল রাতেই আমাদের চালক একটি অন্য স্থানীয় গাড়ি ঠিক করে রেখেছিল। সাতটা নাগাদ সেই গাড়িতে রওনা হলাম। দেখব নানান হ্রদ পার্বত্য দৃশ্য ওস্ফা।
শহর ছেড়ে খানিকা ওপরের দিকে উঠেতেই তাওয়াং মনস্ট্রির এক দারুন রূপ দেখা গেল। সামান্য উঁচু থেকে নীল পবর্তের কোলে সুবিশাল স্থাপত্যের বিস্তার মনে রাখার মতো। ছবি তুলে এগিয়ে চললাম। কিছুটা পথ যাওয়ার পরই ঠ-াটা হঠাৎ বেড়ে গেল। পথের দু’পাশে পড়ে আছে চাপচাপ বরফ। হালকা ঝুরো বরফ রয়েছে গাছের পাাতায়ও। পাকদ-ী পথের উল্টোদিকের পাহাড়ের গায়ে ও তুষারের আবরন। অনেক গাছের পাতা ঝরে গিয়ে দুর থেকে বেশ খানিকটা চড়াই একবারে অতিক্রম করে গাড়ি থামল। বাদিকে কাকচক্ষু টলটলে এ দিঘি। আকারে অনেক বড় হলেও বিশাল পর্বতরাজির মধ্যে তাকে বেশ ছোট্ট মনে হচ্ছে। পানি টলমলে নয়। তবে এগিয়ে গিয়ে দেখি পুরো ওপরতলাটা জমে কাঁচের মতো স্বচ্ছ বরফে পরিণত হয়েছে। শুনলাম সামনের পেঙ্গাটেং সোসহ অন্যান্য হ্রদের পানি নকি জমে আরও পুরু হয়েছে। চাইলে ওপর দিয়ে হাটা যাচ্ছে অনায়াসে।
পেঙ্গাটেং সো বা পিটেেসা হ্রদটা বেশ ছড়ানো ছেটানো। এপাশ থেকে ওপাশ কোথাও পুুকুরের মতো গোল আবার কোথাও সরু। চারদিকে তুলার মতো সাদা বরফের ময়দানের মধ্যে স্বচ্ছ সাদা তার জমে যাওয়া পানি। বেশ ওপরে দেখা যাচ্ছে দাঁড়িয় থাকা আমাদের গাড়ি। শীতে পর্যটকশূন্য এই হ্রদ। একদিকে একটা কাঠের পুল দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা। সেখানে কাঠের পুল দিয়ে ব্যবহার না করে জমা পানির ওপরে হুটোপাটি করছে কিছু স্থানীয় ছেলেপুলে। আলাপ হতে জানলাম তাদের স্কুলে ছুটি চলছে। তাওয়াং থেকে এখানে আনন্দ করতে এসেছে।
পরর্বতী আকর্ষণ ডান দিকে পাহাড়ের নিঝুম উপত্যকার একটা গুস্ফা। পথে জায়গায় জায়গায় জমে থাকা বরফ চোখে পড়লেও প্রায় ওল্টানো কাড়াইয়ের মতো উপত্যকার মাঝে অবস্থিত গুস্ফার আশপাশ বা উপত্যকা বরফশূন্য। স্থানবিশেষ কঠিন কালো পাথর বা হলুদ ঘাসের পশ্চাৎপটে সাদা ছোট্ট স্থাপত্যটি দেখতে বেশ সুন্দর। এখানেই চোখে পড়ল সবুজ রঙের শরীর আর সোনালি কাঁটার এক অদ্ভুদ অর্কিড।
ড্রাইভার জানালেন সামনের পাহাড়ের ওপাশেই রয়েছে নাগুলা হ্রদ। তবে আমরা সেখানে যাব ওপাশ দিয়ে গাড়িতে। নাগুলাসহ আরও নানান হ্রদের পাশ দিয়ে আমরা চলেছি। কোথাও নেমে কোথাও না নেমে ছবি তুলেছি অবাক হয়েছি। কোথাও কোনটা সাদা হয়ে জমে গেছে। কোথাও বা স্তব্ধ হয়ে আছে ঢেউগুলো এখনও। দেখে মনে হচ্ছে বাতাসের সঙ্গে খেলা করতে করতে হঠাৎ প্রকৃতির অমাঘ নির্দেশে একসঙ্গে স্থির হয়ে গেছে পুরো দৃশ্যপটটাই। অনেকদুর নীল র্পবতের পিছনে রুক্ষ পাথুরে চুড়া দেখা যাচ্ছে। তার পাশেই রয়েছে তুষার শুভ্র আরও একটি পর্বতশীর্ষ। যতই ওয়াই জংশনের দিকে এগিয়ে চলেছি ততই আশপাশের পাহাড়গুলো বেশ নিচে নেমে আসছে। বরফের আধিক্য আর হাওয়ার গতিও একই সঙ্গে বেড়ে চলেছে। আমরা যেন পাহাড়ের ছাদ দিয়ে চলেছি।
পৌঁছলাম ওয়াই জংশন। এখান থেকে বুমলার পথ প্রচগু তুষারপাতে প্রায় বন্ধ। তবে সাঙ্গেতসর হ্রদের অনেকটা কাছ পর্যন্তই যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শুনে আমরা এগিয়ে চললাম।
একটা ন্যাড়া ছাদের মতো জায়গায পৌঁছেছি। ঠিক নীচেই শুকনো গাছের উঠে থাকা গুঁড়িসমৃদ্ধ সাদা বরফের ময়দান দেখা যাচ্ছে। সাঙ্গেতসর হ্রদের এ এক অন্য রূপ। বাদিকের পথ আশপাশ বরফের রাজত্ব। ঝরনা নামতে নামতে কঠিন হয়ে রয়েছে। একটু আগে পাড়ে অনোটা হেটে গিয়ে হ্রদের কিনারে পৌঁছতে পারিনি। অসম্ভব পিচ্ছিল হয়ে আছে থেকে নীলচে আভা বেরিয়ে চোখ ধাধিয়ে দিচ্ছে এছাড়া রয়েছে শীতের প্রকোপ। গায়ে রোদ না লাগলেই রীতিমতো কাপুনি ধরে যাচ্ছে। প্রায় দুপুর একটার সময়ই প্রাণন্তকর অবস্থা। বেশকিছু ছবি তুলে ফেরবার পথ ধরলাম।
ওয়াই জংশনের কাছে পৌঁছ শীত এবং খিদে তাড়ানো সেনাবাহিনীর ক্যান্টিনে ঢুকে পড়লাম। এই তীব্র আবহাওয়াতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উদারভাবে আমাদের আমন্ত্রণ জানালেন। সেল্ফ সার্ভিসে পাওয়া যাচ্ছে গরম চা স্যুপ কফি মোমো নুডলস। বুখারি আর উনুন থাকার জন্য এই ক্যান্টিনের ভিতরটা বেশ আরামদায়ক। হাওয়া ও শীতের দাপট থেকে মুক্ত অবস্থায় কাঁচের বড় বড় জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে বরফের সাম্রাজ্য।
গরম কফি আর মোমো খেয়ে শরীরের বল ফিরে এল। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার ফেরার পথ ধরলাম। বেশ কিছুক্ষণ চলার পর বাদিকে কেয়ো সো সাদা জমা বরফের ময়দান হয়ে গেছে। তার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে তার কিনারায় থাকা লাল সবুজ ধাতব র্বোডে। ড্রাইভার সেখানে গাড়ি থামিয়ে আরেকটা। সুন্দর হ্রদ দেখার প্রস্তাব দিল, তবে সেখানে খানিটা পায়ে হেটে যেতে হবে। গাড়ি থেকে নেমে বাদিকের উঁচু পথে চললাম। সামান্য বললেও চলার সময় এই উচ্চতায় পাথর আর তুষার প্রান্তরে সামান্য পথও যথেষ্ট কষ্টকর বলে মনে হলো।
মিনিট পনেরো পরে পথ সামান্য নামতে শুরু করল আর একটু পরেই পৌঁছলাম এমদম রেকাবের মতো গোল সুবিশাল জমে যাওয়া এক প্রান্তরের সামনে। চারদিকের পর্বতের মাঝে এর অবস্থান আর রূপ আমার কাছে বাকি প্রায় সব হ্রদের থেকেই বেশি সুন্দর বলে মনে হলো।
পুরোটা হ্রদ সম্পূর্ণ জমে যাওয়ায় বেশ কিছুটা সময় আমরা তার ওপর পায়চারি করলাম। ছবিও তুললাম প্রাণভরে। আর একটু দেরি হলেই তাওয়াং গুস্ফার প্রধান গর্ভগৃহ বন্ধ হয়ে যেত। সুবিশাল দরজা পেরিয়ে লম্বা টানা হলঘরের শেষে বিশালাকায় তথাগতর উজ্জ্বল মূর্তি। তার আকার আকৃতি ও অবস্থানের জন্য বেশ সম্ভ্রম জাগায়। গেলুকপা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান এই মঠের প্রধান। প্রার্থনাকক্ষের বাকিটা অন্যান্য মনাস্ট্রির মতোই।
দরজা বন্ধ করছিলেন যে লামা তিনি বললেন, প্রতিদিন ভোরে সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত পুজা পাঠ হয়। আমরা চাইলে দেখতে আসতে পারি। প্রবল শীতে সে কথাকে মনে ঠাইও দিলাম না। চললাম মনাস্ট্রির সং গ্রহালয় দেখতে।
নানান পুস্তক ছাড়া ও রয়েছে তন্ত্রবৌদ্ধর্ধম ও সমাজব্যবস্থা অনুযায়ী তাদের ব্যবহারের নানান বাসন। থালা বাটি অস্ত্রশস্ত্র পান পাত্র ও সাধনার সরঞ্জামের প্রভুত সংগ্রহ। তামা, কাঁসা পিতল, মিশ্রধাতু ও সেরামিকের নানান সামগ্রী বেশ সুন্দর। রয়েছে নরকরোটি, হাড় আর হাতির দাঁত। সন্ধ্যা ঘনাতে ফিরে এলাম হোটেলে। আজ আশেপাশে দোকানপাট হোটেল কালকের মতোই বন্ধ। চারদিকে নিঝুম। যেন ভয়ানক ঠা-ার প্রস্ততি নিচ্ছে। তীব্র শীত আর নিঃসঙ্গ সন্ধ্যা কাটাবার জন্য আজ আমরা নিজেরা রান্ন্া করব বলে ঠিক করলাম। ঘণ্টা দুয়ের চেষ্টায় তৈরি হলো রুটি আলুকপির তরকারি ভাত আর ডিমের ঝোল। প্রায় ফুটন্তই খেতে হল ঠা-া হওয়ার ভয়ে। আর গাড়িকে বলে দিয়েছিলাম ভোর পাঁচটা মধ্যে আসতে। তীব্র শীতের প্রায় মাঝরাতে কম্বল ছেড়ে তৈরি হতেও পেরেছিলাম ভোর পাঁচটায়।
অভিজ্ঞতা হলো লামাদের পুজা প্রার্থনা, রান্নাঘরের রান্না-বান্না রুটি তরকারির প্রাতঃরাশ। ফেরার সময় দেখি চারদিকে সাদা গাছপালা ঘাস ফুটপাথ রেলিং নর্দমাতে বরফের আস্তরণ যা আধো অন্ধাকারে ভালো করে দেখা যায়নি তাই দেখা গেল এই ঝকঝকে সকালে। ফেরার পথে অন্ধকার পর্বতের কোলে তাওয়াং গুস্ফা আরো একবার ধরা দিল সারা গায়ে রোদ মেখে।