বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বন বিভাগের বাস্তবায়নাধীন স্ট্রেংদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন প্রকল্পের আওতায় ক্যামেরা ট্রাপিং-এর মাধ্যমে ২০১৩ সাল থেকে সুন্দরবনে বাঘ জরিপের কাজ শুরু হয়। ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া, দেরাদুন-এর কারিগরি সহায়তায় স্যাম্পলিং-এর মাধ্যমে সুন্দরবনের তিনটি এলাকায় ওই জরিপ কাজ পরিচালিত হয়। বন বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, এ প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ৪০ শতাংশ এলাকা জরিপের আওতায় এসেছে। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি নিরূপণ করা হয়। ২০১৩ সালে এ পদ্ধতিতে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে বাঘের সংখ্যা ৬৪টি নিরূপণ করা হয়। উল্লেখ্য, নেপাল, ভুটান এবং মালয়েশিয়া এই পদ্ধতিতে বাঘ গণনা করেছে। গণনার এ পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
বন বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে nederlandsegokken online casino আরো বলা হয়, ২০০৪ সালে সুন্দরবনে পায়ের ছাপ গণনা পদ্ধতির মাধ্যমে বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি নিরূপণ করা হয়েছিলো। একই পদ্ধতিতে ওই সময় ভারতীয় অংশে বাঘের সংখ্যা নিরূপণ করা হয়েছিলো ২৭০টি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবনের আয়তন ৬০১৭ বর্গ কিলোমিটার এবং ভারতীয় অংশের আয়তন চার হাজার বর্গ কিলোমিটার। আয়তন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভারতীয় অংশের আয়তনের তুলনায় বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা বেশি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন জরিপ দলের কাছ থেকে এখনো পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সূত্র : ইত্তেফাক