Skip to content

বাচ্চাদের কেন, কখন মোবাইল দেয়া বিপজ্জনক

খুব কম বয়সে হাতে মোবাইল তুলে দিলে সন্তানের সর্বনাশের পথই তৈরি হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দুই বছর হওয়ার আগে শিশুর হাতে মোবাইল দেয়া একদমই ঠিক নয়। কোন বয়সের কোন শিশু কতটা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে তা-ও জানিয়েছেন তাঁরা।

Child4

যত কম বয়সে প্রযুক্তি, ক্ষতি তত বেশি
দ্য অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স ও ক্যানাডিয়ান সোসাইটি অফ পেডিয়াট্রিক্সের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি কোন বয়সে শিশুকে কতটুকু প্রযুক্তির সংস্পর্শে নেয়া উচিত, সে সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা দিয়েছে। তাঁরা বলেছেন, দু বছরের আগে শিশুদের সব গ্যাজেট থেকে দূরে রাখাই উচিত। ওই বয়সে ইন্টারনেট, আইপ্যাড বা টেলিভিশনে অভ্যস্ত হলে শিশু স্বভাবে অস্থির হয়, অনেক ক্ষেত্রে কানে কম শোনে।

Child5

কোন বয়সে কতটুকু প্রযুক্তি
বিজ্ঞানীদের মতে, দু বছরের পর অল্প অল্প করে শুরু করলেও ৩ থেকে ৫ বছর বয়সিদের কখনো দিনে ১ ঘণ্টার বেশি মোবাইল, টেলিভিশন, আইপ্যাড, ল্যাপটপ, টেলিভিশন ইত্যাদির সংস্পর্শে থাকা ঠিক নয়। ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সিরা দিনে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা সেই জিনিসগুলোর কাছাকাছি গেলে ক্ষতি এড়াতে পারবে।

Child6

খুব মুটিয়ে যাওয়া
এসবে অভ্যস্ত হলে অনেক শিশু অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়। এর নানা রকমের ক্ষতিকর প্রভাব জীবনের ওপরও পড়ে। ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগের ও বেড়ে যায় তাদের।

Child7

উগ্রতা, আগ্রাসন এবং….
গ্যাজেট ব্যবহার করার কারণে শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি যৌনতা, সন্ত্রাস ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পায়। ফলে অনেক শিশু খুব আগ্রাসী স্বভাবের হয়। কিছু শিশু বড় হয়ে নানা কিছুতে জড়িয়েও যায় ভালো-মন্দ না বুঝে।

Child8

মানসিক অসুস্থতা
গ্যাজেট বেশি ব্যবহার করার ফলে খুব কম বয়সেই অনেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে। তাতে এক সময় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে। ক্যানাডায় এ সমস্যা বেশ প্রকট হতে শুরু করেছে। সেখানে ছয় জন শিশুর মধ্যে অন্তত একজনকে বেশি গেজেট ব্যবহার করার ফলে মানসিক স্বাভাবিকতা ফিরে পেতে নিয়মিত ওষুধ খেতে হচ্ছে।

Child10

লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা
ব্যতিক্রম সব কিছুতেই হয়। তাই খুঁজলে এমন কিছু শিশু নিশ্চয়ই পাবেন যারা কম বয়সেই মোবাইল নিয়ে খেলেছে, তা দেখে বাবা তাকে নতুন মোবাইল কিনে দিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত সেই শিশু সুস্থ, মেধাবী হিসেবেই বড় হয়েছে। তবে উল্টো দৃষ্টান্তও অনেক। ১২ বছরের আগে মোবাইল জাতীয় উপকরণে অভ্যস্ত হওয়া শিশুর লেখাপড়ায় উন্নতি খুব ধীর গতিতে হয়। দেখা গেছে, সেরকম শিশুদের এক তৃতীয়াংশই শিক্ষাজীবনে খুব সমস্যায় পড়ে।

Child11

ঘুম কম হওয়া
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শতকরা ৬০ ভাগ শিশুর বাবা মা-ই আজকাল কম বয়সি সন্তানের হাতে মোবাইল বা অন্য গ্যাজেট তুলে দেন। শতকরা ৭৫ ভাগ শিশুর বাবা-মা তারপর আর খবরই নেন না তাঁদের সন্তান রাতে কখন ঘুমায়। বাবা-মায়ের অজান্তেই অনিদ্রাজনিত অসুখ ডেকে আনে সন্তান। সূত্র : ডয়চে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *