বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াতে কড়াকড়ি আরোপবান্দরবানের থানছি উপজেলার দুর্গম তিন্দু ও রেমাক্রি এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের অবাধে যাতায়াতের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ বিভাগ।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পর্যটকদের ওইসব দুর্গম এলাকায় অসতর্কতাবস্থায় অবাধে যাওয়া-আসার কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকায় স্থানীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে এ কড়াকড়ি আরোপ করেছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এসএম অলিউর রহমান।
বুধবার সকালে রেমাক্রি বাজারে অবস্থানকারী ২০ জন পর্যটককে জেলা সদরে ফেরত আনা হয়েছে একই কারণে। এ এলাকা থেকে উজানে বা গহীন অরণ্যে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে পর্যটকদের। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে কিংবা অনুমতি নিয়েই পর্যটকদের চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি নানামুখী নিরাপত্তার সমস্যাকে চিহ্নিত করে ওইসব দুর্গম এলাকায় পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বলেও সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত মাসে জেলার থানছি উপজেলার দুর্গম এলাকাসমূহে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ আরাকান আর্মির (এএ) সশস্ত্র সদস্যদের সঙ্গে দুর্গম এলাকায় নিয়ে যাওয়া ১৫টি ঘোড়া বিজিবির হাতে আটকের ঘটনায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বিজিবির। ওই সময় ঘটনাস্থল পরির্দশনে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মাইনুল ইসলাম, বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল শফিকুর রহমান, বিজিবির চট্টগ্রাম অঞ্চল প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুল করিম, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী এবং বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এসএম অলিউর রহমান। সূত্র : মানবকণ্ঠ