গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নদীতে মাছ ধরা। এর মজা হয়তো অনেকেরই জানা। কিন্তু ইট পাথরের শহুরে পরিবেশে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য ভুলতে বসছেন অনেকেই। তাই রাজধানী ঢাকার অদূরেই যমুনা নদীতে মনের আনন্দে মাছ ধরার সুযোগ করে দিচ্ছে পর্যটন করপোরেশন।
নদীতে মাছ ধরার পাশাপাশি জোসনা রাতে খোশ গল্প করার সুযোগ পাবেন বিদেশি পর্যটকরা। তাদের নিরাপত্তায় থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। বাংলার লোকজ সংস্কৃতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পর্যটন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে কাজ করছে আদিয়ার এবং কোস্টাল বেসড টুরিস্ট (সিবিটি) নামে দুটি বেসরকারি সংস্থা।
রাজধানীর অদূরে টাঙ্গাইলের পাতরাইলে ৩০টি ঘর সুশজ্জিত করে রাখা হয়েছে টুরিস্টদের জন্য। এখানে দুই রাত তিন দিন থাকবার ও বাঙালি খাবারের সুযোগ পাবেন টুরিস্টরা।
বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশে আকৃষ্ট করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদেশি পর্যটকরা চাইলে গরু চরানো, রাতে গল্প আড্ডা, নদীতে মাছ ধরার সুযোগ নিতে পারবেন। একই সঙ্গে আশপাশের এলাকায় ঘুরে দেখবার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।
দুই রাত তিন দিনের জন্য বিদেশি পর্যটকদের খরচ হবে মাত্র ৬০ ইউএস ডলার। এই ডলারের ৪০ ডলার যাবে যাদের ঘর, বাকী ২০ ডলার পাবেন যাদের মাধ্যমে টুরিস্ট আসবে তারা। পর্যটকদের খাবারে তালিকায় থাকবে বাঙালি সব খাবার। শাক-সবজি, নদীর মাছ, সাদা ভাত।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে পুরো কাজটি করছে দুটি বেসরকারি সংস্থা। আদিয়ার এবং কোস্টাল বেসড টুরিস্ট (সিবিটি) নামে দুটি সংস্থা পর্যটকদের থাকবার ও খাবার সুব্যবস্থা করছে।
পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এখানে গমনকালে পূর্ণ নিরাপত্তা পাবেন পর্যটকরা।
পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অরূপ চৌধুরী বলেন, পর্যটন বর্ষকে কেন্দ্র করে আমরা এই আয়োজন রেখেছি মূলত বিদেশি পর্যটকদের জন্য। এখানে আরেকটি সুযোগ রাখা হয়েছে যারা পর্যটক নিয়ে আসবেন তারাও পাবেন আর্থিক সুবিধা। বিদেশি পর্যটকদের জন্য এটি একটি প্রধান আকর্ষণ। কেননা রাতে গল্প, আড্ডা, মাছ ধরা, গরু চরানো এই সুযোগ নিতে অনেকেই আগ্রহী হন। আশা করি পর্যটকরা এখানে এলে অনেক মজা করতে পারবেন। সূত্র : বাংলানিউজ