Skip to content

বিপিএলের ব্যাটিংয়ে শীর্ষে তিন বাহাতি

BPLবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর তৃতীয় আসরের পর্দা নেমেছে মঙ্গলবার। চার-ছক্কার জমজমাট এ আসর গত ২২ নভেম্বর থেকে ছয় দল নিয়ে শুরু হয়। দেশী-বিদেশী ক্রিকেটারদের পদচারণায় মুখর ছিল বিপিএল। ক্রিকেটের এ মিলনমেলা ভাঙ্গছে আজ।

চার-ছক্কার এ ফরম্যাট সব সময় মাতিয়ে রাখেন ব্যাটসম্যানরা। দেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাব্বির রহমান মাঠ মাতিয়ে রাখেন। বিদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে কুমার সাঙ্গাকারা, তিলকারত্মে দিলশান, লেন্ডল সিমন্স, শহীদ আফ্রিদি নজর কাড়েন। চার ম্যাচ খেলা ক্রিস গেইলও কম যাননি।

তবে শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানদের তালিকায় প্রথম তিনজন ব্যাটসম্যানই বাহাতি। এক কথায় বাহাতি ব্যাটসম্যানদের রাজত্ব চলেছে পুরো বিপিএলে।

সবার উপরে আছেন শ্রীলঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা। ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলা এ ক্রিকেটার ব্যাট হাতে করেছেন ৩৯০ রান। দশ ম্যাচে ৩৮.৭৭ গড়ে দুই হাফসেঞ্চুরিতে এ রান করেছেন সাঙ্গাকারা।

সাঙ্গাকারার পর দুইয়ে আছেন ইমরুল কায়েস। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এ ওপেনারের রান ৩১২। টুর্নামেন্টের শুরুতে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে না পারলেও ধীরে ধীরে স্বরূপে ফিরে আসেন ইমরুল। ফাইনাল ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল। টুর্নামেন্টে ২৮.৩৬ গড়ে দুই হাফসেঞ্চুরিতে ৩১২ রান করেন জাতীয় দলে এ ওপেনার।

ফাইনাল ম্যাচ পর্যন্ত দেশী ক্রিকেটারের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন তামিম ইকবাল কিন্তু ইমরুল শেষ ম্যাচে সব ওলটপালট করে দেন। দেশসেরা ওপেনার তামিম খেলেছেন বন্দরনগরীরর দল চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে। নয় ম্যাচে ২৯৮ রান করেন তিনি। এবারের আসরের সর্বোচ্চ তিনটি হাফসেঞ্চুরি তামিম ইকবালের।

বাহাতিদের দাপটের পর চারে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বরিশাল বুলসের অধিনায়কের ব্যাট থেকে ১৩ ম্যাচে ২৭.৯০ গড়ে এসেছে ২৭৯ রান। দুটি হাফসেঞ্চুরি নিজের নামের পাশে লেখিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

দল ভালো না করলেও চিটাগং ভাইকিংসের আরেক ক্রিকেটার শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের তালিকায় ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন। শ্রীলঙ্কান ওপেনার তিলকারত্মে দিলশান করেছেন ২৬০ রান। দশ ম্যাচে ২৮.৮৮ গড়ে এক হাফসেঞ্চুরিতে এ রান করেছেন দিলশান।

এছাড়া লেন্ডল সিমন্স দশ ম্যাচে ২২১ ও ক্রিস গেইল চার ম্যাচে ১৩৯ রান করেন। সৌজন্যে : রাইজিংবিডি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *