Skip to content

বিশ্বের বৃহৎ যত ঈদ জামাত

Saudi-Arabia

ঈদ জামাতে শামিল হতে মুসলমানরা ছুটে যান বড় ঈদ জামাতে। ঈদের সবচেয়ে বড় আনন্দ এটি। সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতটি অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড মস্ক ইন মক্কা নামে পরিচিত কাবা শরিফে। বিশ্বজুড়ে বড় ঈদ জামাত নিয়ে এই আয়োজন—

সৌদি আরব : সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতটি অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড মস্ক ইন মক্কা নামে পরিচিত কাবা শরিফে। এখানেই সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয় সরকারিভাবে। তবে অন্যান্য মসজিদেও ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

ইউরোপ : ইউরোপের বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় বার্মিংহামে। গত বছর সেখানে প্রায় ৭০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কমিউনিটির, বিভিন্ন কালচারের ৭০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায়ের পর সেখানেই তারা তাদের ছুটির দিনটি কাটান বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জনের সঙ্গে। বলা হয়ে থাকে, এর আগে কখনো এত বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।

জেরুজালেম : জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতটি। হাজার খানেকের বেশি মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করতে সমবেত হয়ে থাকেন।

মরক্কো : মরক্কোর হাসান-২ মসজিদে সে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়। মসজিদটি মরক্কোর ক্যাসাব্লাঙ্কায় অবস্থিত। এ মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এ মসজিদের আরেকটি বিখ্যাত দিক হলো এর মিনারটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিনারটি এ মসজিদের।

ওমান : ওমানের মাস্কটে সে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়। সবচেয়ে বড় এ ঈদ জামাতটি অনুষ্ঠিত হয় মাস্কটের সুলতান কাবুস মসজিদে। বলা হয়ে থাকে, সুলতান কাবুস মসজিদ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। ওমানের দর্শনীয় জায়গাগুলোরও একটি এ মসজিদ। ১৯৯২ সালে এ মসজিদ তৈরি করা শুরু হয় এবং ছয় বছর সময় লাগে এ মসজিদটি তৈরি করতে। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন।

আবুধাবি : আবুধাবির শেখ জায়েদ মসজিদে আয়োজন করা হয় সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের। প্রতিবছর আরব আমিরাতে অবস্থিত এ মসজিদে হাজার হাজার মানুষ ঈদের নামাজ একসঙ্গে আদায় করে থাকেন। সরকারিভাবে এই জামাতের আয়োজন করা হয়ে থাকে। খুব জাঁকজমকের মধ্য দিয়ে সাজানো হয় পুরো শহরকে ঈদ উপলক্ষে। বলা হয়ে থাকে, প্রায় ৪০ হাজার মানুষ একসঙ্গে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত এটিই।

মিসর : ক্যারিওর আল আজহার মসজিদে সেখানকার সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়। হাজারখানেকের মতো মানুষ এখানে সমবেত হয়ে থাকেন ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য। ধারণা করা হয়, ৯৭০ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। মিসরের ইতিহাসে এ মসজিদটি সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ।

Sholakia

উপমহাদেশে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত : উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় শোলাকিয়া ঈদগাহে। প্রতি বছর এখানে ঈদের নামাজ আদায় করতে মুসলিম বিশ্বের লাখো মানুষ একত্রিত হয়ে থাকেন। সারা বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি ও আল্লাহর রহমতের আশায় এখানে লাখো মুসলমান আল্লাহর দরবারের তাদের মিনতি তুলে ধরেন। নামাজের পর মুসল্লিরা তাদের অতীতের ভুল-ভ্রান্তির ক্ষমার জন্য আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মোনাজাত করেন। লাখো মানুষের সমন্বিত মোনাজাতে পুরো শহরে তখন এক পবিত্র পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গোটা শহরে তখন লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হয় মহান আল্লাহর নাম। যুগ যুগ ধরে লাখো মানুষের সমাগমে এভাবে পালিত হয়ে আসছে শোলাকিয়া ঈদগাহের সর্ববৃহৎ জামাত। ঈদের জামাতকে ঘিরে এতমানুষের সমাগমের রেকর্ড উপমহাদেশের মধ্যে কেবল শোলাকিয়ারই রয়েছে। মুসলিম সংস্কৃতির অন্যতম এই ঈদগাহটি কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। প্রতিবছর এ ময়দানে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত এখানেই অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে একসঙ্গে তিন লক্ষাধিক মুসল্লি ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শুরুর ১৫ মিনিট আগে রেওয়াজ অনুযায়ী পর পর তিনবার শটগানের গুলি ছুড়ে মুসল্লিদের দাঁড়ানোর সংকেত দেওয়া হয়। সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *