Skip to content

বিশ্বের ‘সবচেয়ে প্রাণঘাতী’ সীমান্ত

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে ২,০০০ সাল থেকে এখন অবধি ৩৩,০০০ মানুষ মারা গেছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। বর্তমানে তুরস্ক এবং ইউরোপের দিকের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইটালির উপর চাপ বেড়েছে।

অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আইওএম শুক্রবার জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর এখনো বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সীমান্ত হিসেবে রয়ে গেছে। এই সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৩৩,০০০ মানুষ। নিহতদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছে।

২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল অবধি এভাবে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে রেকর্ডসংখ্যক শরণার্থী ও অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে মৃতের সংখ্যা কমে গেলেও ঝুঁকি আগের চেয়ে বেড়ে গেছে বলে মনে করছে আইওএম। জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটির অন্যতম লেখক ফিলিপ ফার্গুস বলেন, ‘‘তুরস্কের সঙ্গে এক বিতর্কিত অভিবাসী চুক্তি এবং লিবিয়ার উপকূলরক্ষীদের সক্রিয়তার কারণে শরণার্থীরা এখন আগের চেয়ে দীর্ঘ ও বিপজ্জনক সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে সরাসরি ইটালি চলে যাচ্ছে। আগের সংক্ষিপ্ত এবং কম বিপজ্জনক পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছে তারা৷ আর তাতে মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৬১,০০০-এর বেশি শরণার্থী ও অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করেছে। এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই সমুদ্রপথে ইটালিতে এসেছে। ২০১৫ সালে ইউরোপে এভাবে ইউরোপে প্রবেশকারীর সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেবছর যুদ্ধ এবং দরিদ্রতা থেকে বাঁচতে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক মানুষ সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশ করে। জার্মানি তখন প্রায় নয়লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। তবে মূলত সিরিয়ার নাগরিকদের দীর্ঘ মেয়াদে থাকার অনুমতি দিলেও এশিয়ার শরণার্থীদের ইতোমধ্যে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে দেশটি।

উল্লেখ্য, চলতি বছর এখন অবধি ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। চলতি বছরের শেষের দিকে এই সংখ্যা বাড়তে পারে। তাসত্ত্বেও তা গতবছরের তুলনায় কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেননা, গতবছর সমুদ্রপাড়ি দিতে গিয়ে মারা গিয়েছিল ৪,৭৫৭ জন শরণার্থী। সূত্র: ডয়চে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *