Skip to content

বিড়াল সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য

জার্মানিতে অনেকেই বিড়াল পোষে। প্রায় ৮২ লাখ পোষা বিড়াল আছে জার্মানিতে। অনেক ধরনের বিড়ালই আছে। তাদের স্বভাব-প্রকৃতিতেও আছে বৈচিত্র্য। অনেকেরই প্রিয় এই পোষা প্রাণী সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য থাকছে আজকের ছবিঘরে।

Cat

মাপযন্ত্র গোঁফ

গোঁফহীন বিড়াল দেখেছেন কখনো? গোঁফহীন বিড়াল হয়ই না, দেখবেন কি করে! গোঁফ দিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজও করে বিড়াল। ছোট্ট গর্ত দিয়ে যেতে চাইলে বিড়াল কিন্তু ওই গোঁফ দিয়েই মেপে নেয়, তারপর ঠিক করে যাওয়ার চেষ্টা করবে কিনা। একটা বিশেষ সুবিধাও আছে ওদের। কলারবোন নেই বলে মাথাটা গলিয়ে দিলেই হলো, তারপর অনায়াসে চলে যায় গর্তের ওপারে।

Cat2

নাক করে জিভের কাজ

মানুষের জিভে ৯ হাজার এমন ধরনের ‘সেন্সর’ আছে যেসবের কাজই হলো খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করা। বিড়ালের জিভে সেরকম সেন্সর মাত্র ৪৭৩টি। ফলে স্বাদ বোঝার কাজে তাদের জিভ অনেক কম কার্যকর। বিড়াল তাই বাধ্য হয়ে খাবারে স্বাদ বোঝে নাক দিয়ে গন্ধ শুঁকে।

Cat3

বিড়ালের নাকের ছাপ….

বিড়াল নাকি গোঁফ দিয়ে চেনা যায়? যারা বলেন, ভুল বলেন। প্রতিটি মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ যেমন একেবারে আলাদা, সেরকমই বিড়ালের নাক। একেক বিড়ালের একেকরকম নাক। সুতরাং সব কিছু কাকতালীয়ভাবে যদি কখনো মিলেও যায়, তবু দুটো বিড়ালের নাক কখনো হুবহু একরকম হতে পারেনা। কিছু না কিছু পার্থক্য থাকবেই।

Cat4

মানুষের রক্তচাপ কমায় বিড়াল!

গায়ে হাত বোলালে বা কোলে নিয়ে আদর করলে বিড়াল যে আহ্লাদ করে ঘরঘর আওয়াজ করে, সেই আওয়াজ শুনলে নাকি মানুষের উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এটা।

Cat5

অন্ধকারে দেখে ভালো

অন্ধকারে খুব ভালো দেখে বিড়াল। কোনো কিছু পরিষ্কার দেখার জন্য মানুষের যতটা আলোর প্রয়োজন তার ছয় ভাগের একভাগ আলোতেই সেই বস্তুটি পরিষ্কার দেখতে পারে বিড়াল।

Cat6

সবচেয়ে বড় চোখ

পৃথিবীর সব প্রাণীর মধ্যে শরীরের অনুপাতে বিড়ালের চোখই সবচেয়ে বড়। হাতি খুব বড়, তিমি মাছও বিশাল, তাদের চোখ কিন্তু শরীরের অনুপাতে বিড়ালের তুলনায় অনেক ছোট।

Cat7

বিড়ালের যত ডাক

মানুষের মতো বিড়ালও কিন্তু একেক দেশে একেক ভাষায় কথা বলে, অর্থাৎ বিড়ালের ‘মিঁউ, মিঁউ’ নাকি সবদেশেই একরকম নয়। তাই কাটালুনিয়া বিড়ালরা ডাকলে সেই ডাক শোনায় ‘মিঁউ’-এর মতো, ক্যান্টনের বিড়াল ডাকে ‘মাও, মাও’, ডেনমার্কের ‘মিয়াভ’, নেদারল্যান্ডসের ‘মিয়াউ’, ইংল্যান্ডের ‘মিয়ো’, ফ্রান্সের ‘মিয়াও’, গ্রিসের ‘নাইউ’ এবং জাপানের বিড়ালের ডাক নাকি ‘ন্যায়ান, ন্যায়ান’-এর মতো শোনায়। সূত্র : ডয়চে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *